অতীত নিয়ে ভাবছি না
আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। এরপর টাইগাররা যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট সিরিজকে সামনে রেখে এরই মধ্যে ২৯ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১০ই জুলাই থেকে শুরু হবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। বর্তমানে ঈদের ছুটিতে বেশির ভাগ ক্রিকেটারই রয়েছেন পরিবারের সঙ্গে। তবে এরই মধ্যে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম, সহ-অধিনরায়ক তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান ও মুমিনুল হক সৌরভরা। তাই গতকালই ক্রিকেটারদের পদচারণাতে মুখর হয়ে উঠেছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম।
কক্সবাজারে ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে মন ছিল না মুমিনুল হকের। নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে তাই ঢাকায় ফিরেই নেমে পড়েছেন অনুশীলনে। আপাতত ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন। যেন ফিট থেকেই ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন শুরু করতে পারেন। শ্রীলঙ্কায় দেশের হয়ে শততম টেস্ট খেলা হয়নি ২২ টেস্টের ৪০ ইনিংসে ১১ ফিফটি ও চার সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ব্যাটসম্যানের। হয়তো সে কারণেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামতে এতটা মরিয়া। গতকাল বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে আলাপকালে মুমিনুল জানালেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘একটু আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করলাম। নিজেকে ফিট করতে হবে। যত সময় ব্যয় করবো ততোই ভাল হবে নিজের জন্য। আসলে অতীতে কী হয়েছে, দলে জয়গা পাব কিনা, বা খেলতে পারবো কিনা এই সব নিয়ে একেবারেই ভাবছি না। কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যও নেই। কাজ শুধু একটাই নিজেকে প্রস্তুত রাখা যেন দলের প্রয়োজনে নিজের সেরাটা দিতে পারি।’
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার গল টেস্টে মুমিনুল হকের অভিষেক হয়। নিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ফিফটি হাঁকিয়ে শুরু। তারপর থেকে তার ব্যাট হয়ে ওঠে টেস্টে জাতীয় দলের ভরসা। এ পর্যন্ত ৪৬.৮৮ গড়ে ১৬৮৮ রান করেছেন তিনি। শুরুতে ৪ নম্বর পজিশনে ব্যাট করেন ৯ ম্যাচে। বাকি সব ইনিংসেই তিনি খেলেছেন তিনে। কিছুদিন আগেও টেস্টে মুমিনুলকে ছাড়া কল্পনাই করা যেত না। কিন্তু শেষ টেস্টে দলে জায়গা না হওয়াতে এখন সামনেও তাকে দলে দেখা যাবে কিনা এই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
দল থেকে এমন হুট করে বাদ পড়ার প্রভাব কি তার মানসিকতায় বা পারফরম্যান্সে পড়েছে? সেখান থেকে বের হতেই কি আগে ভাগেই নিজেকে ফিট করার চিন্তা? শততম টেস্ট খেলতে না পারার আক্ষেপটা কি তাকে এখনো তাড়া করছে? মুমিনুল জানালেন মোটেও না। তিনি আগের ঘটনা নিয়ে এক মুহূর্তও ভাবতে চান না। তিনি বলেন, ‘শততম টেস্ট খেলতে পারিনি সেটি অনেকদিন হয়ে গেছে। এই নিয়ে এখন আর ভাবি না। এও ভাবিনা দলে সুযোগ পাব কি-না। আমার ভাবনাতে শুধু পারফরম্যান্স সেটা যেখানেই হোক না কেন। এখন ফিটনেস উন্নতি করতে কাজ করছি। তিন চার দিনের মধ্যে ব্যাটিং-বোলিং শুরু করবো। এখন আমার শুধু সামনে তাকানোর সময়।’
ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন বাবা-মাকে নিয়ে। ঈদ কেমন কেটেছে জানতে চাইলে মুুমিনুল বলেন, ‘ভালো কেটেছে। তবে আমি একাই ঢাকাতে চলে এসছি। বাসার সবাই এখন কক্সবাজারে। মূলত ফাঁকা সময়টা নিজের মত কাজে লাগাতেই চলে আসা। আশা করি ভালো কিছুই হবে। সুযোগ পেলে ভালো করতে চাই, বাকিটা আল্লাহ্র ইচ্ছা।’