অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরী
বার্তা ডেক্সঃঃযাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরীকে নয় বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আয়কর ফাঁকি আইনে অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। রোববার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-১০ বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শাহ আলম বলেন, ‘আয়কর ফাঁকি আইনের পৃথক তিন ধারায় বিচারক নয় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এই মামলায় শহিদ উদ্দিন চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণা শেষে বিচারক সাজা পরোয়ানা জারি করেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি আইনের ১৬৪, ১৬৫ ও ১৬৬ ধারার অভিযোগে আয়কর কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।’
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগে পৃথক তিনটি ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি নয় বছর প্রদান করেন আদালত। তার বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগ এনে আয়কর কর্তৃপক্ষ মামলাটি দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি বিধায় বিজ্ঞ আদালতে আসামিকে এই ধারায় নয় বছর কারাদণ্ড প্রদান করেন।’
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ লগ্নির বিষয়টি গোপন করেছেন। তিনি ২০১৪-২০১৫ করবর্ষে ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ২৮৬ টাকা, ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে নয় কোটি ২৫ লাখ ১২ হাজার ৬০০ টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে ৭ কোটি ৭ লাখ ১৪ হাজার ২২১ টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন। তিন বছরে ফাঁকির পরিমাণ হয় ১৭ কোটি ছয় লাখ ৪০ হাজার ১০৭ টাকা। ২০১৮-২০১৯ করবর্ষে নোটিস জারি হওয়ার পরও আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি ও করযোগ্য আয় গোপন করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আয়কর ফাঁকির অভিযোগ এনে ঢাকার কর অঞ্চল-৯-এ মামলা করেন সহকারী কর কমিশনার শেখ আলী হাসান। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত সূত্র জানায়, গত ১০ নভেম্বর ঢাকার চতুর্থ মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অস্ত্র মামলায় অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম খানসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়। তার স্ত্রী ফারজানাও বর্তমানে পলাতক আছেন।-পূর্বপশ্চিমবিডি
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬৫ বার