আগামী বছরের মধ্যে সাড়ে ১৯ হাজার স্কুলভবন: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে সরকার সারাদেশে সাড়ে ১৯ হাজার স্কুলভবন বানাবে। উপজেলা পর্যায়ে চারতলা, জেলা পর্যায়ে আটতলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে দশ তলাভবন নির্মাণ করা হবে। এসব ভবনে অত্যাধুনিক সুবিধা থাকবে। ভালো ক্লাসরুম, টয়লেট থাকবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হবে। শুক্রবার দুপুরে ডিআরইউর সাগর-রুনি মিলনায়তনে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা-২০১৬-তে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্যদের কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষাখাতে সরকারের অগ্রগতি তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা ৯৯.৪৭ শতাংশ ছেলে-মেয়েকে স্কুলে নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছি। আমি যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েছি তখন একটিও মেয়েও আমার সঙ্গে ছিল না। তখন মেয়েদের স্কুলে যাওয়াকে পাপ বলে মনে করা হতো। দিন বদলেছে। এখন প্রাথমিক পর্যায়ে মেয়ের হার ৫১ শতাংশ। আর ছেলে আছে ৪৯ শতাংশ। মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ছে ৫৩ শতাংশ মেয়ে। ছেলেরা আছে ৪৭ শতাংশ।’
শিক্ষার মানের বিষয়টি উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, এখন শিক্ষায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গুণগত মান নিশ্চিত করা। গুণগত মান নিশ্চিত করতে হলে মানসম্পন্ন শিক্ষক প্রয়োজন। আমাদের মেধাবীরা এখনো শিক্ষকতা পেশায় কম আসছেন। আমরা তাদের যথাযথ সম্মান করতে পারি না। যে কারণে মেধাবীরা এখনো এ পেশায় আসতে আগ্রহ পাচ্ছেন না। নতুন প্রজন্ম আগামী দিনের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের গতানুগতি শিক্ষা দিয়ে আধুনিক উন্নত রাষ্ট্র গঠন করা যাবে না। এটাও ঠিক যে রাতারাতি এটা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে আমরা প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের ছেলেমেয়েদের তৈরি করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ, ডিআরইউর সহ-সভাপতি আবু দারদা জুবায়ের, অভিভাবক শাহনেওয়াজ দুলাল, সুরাইয়া মুন্নী, সাবিনা ইয়াসমিন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাবরিনা নুজহাত প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন, ডিআরইউর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মানিক মুনতাসির, দপ্তর সম্পাদক নয়ন মুরাদ, আপ্যায়ন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানী। ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় ভালো ফলাফলকারী ২৭ জন শিক্ষার্থীকে এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী ১৮ জনকে সংবধনা ও বৃত্তি দেয়া হয়েছে। কৃতী শিক্ষার্থীরা সবাই নগদ দুই হাজার টাকা বৃত্তি, সনদপত্র, একটি সম্মাননা ক্রেস্ট এবং বই উপহার পেয়েছে।