আমাদেরএটর্নী জেনারেল
জেসমিন আরা বেগম(ফেসবুক থেকে)-আমাদের রাষ্ট্রের এটর্নী জেনারেল। আমার সাথে তার প্রথম দেখা হয় বোধহয় ১৯৯২/৯৩ সালে বইমেলায়। একটি ষ্টলে বই নিয়ে বসেছিলেন। নিজের লিখা বই স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ আইনজীবী। আমি গুটি গুটি পায়ে তার সামনে গিয়ে বইটা হাতে নিই। আমার বাবা স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ আইনজীবী। ভাবি নাই সুনামগন্জের শহীদ আইনজীবীর স্থান সে বইয়ে থাকবে। বইটা খুলে পাতা উল্টাই আর ছবিসহ আমার বাবার ছোট্ট জীবনী পেয়ে যাই। বইটা হাতে নিয়ে আমি কাদতে থাকি। অনেক স্নেহভরে জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে? আমি আমার বাবার ছবিটা দেখিয়ে বলি আমার বাবা। তিনি উঠে দাড়িয়ে আমাকে সান্তনা দেন। বলেন উনি নাকি চিনতেন। এর পর যতবার দেখা হয়েছে আমাকে শহীদ বুদ্ধিজীবির মেয়ে হিসাবে আলাদা ভাবে দেখতেন
আমার বোনের চাকুরী সংক্রান্ত মামলার জন্য ২০০৬ সালে উনার চেম্বারে যাই। উনি মামলা গ্রহন করেন শহীদের মেয়ে বলে একটি টাকাও গ্রহন করলেন না। বিনা পয়সায় কঠিন একটি মামলা আমার বোন জিতে আজ ঐ স্কুলেই চাকুরী করছে।
সলিসিটার হয়ে যখন উনার সাথে কাজ করার সুযোগ আমার হলো তখনও উনার স্নেহছায়া অনুভব করেছি। যে কোন সমস্যায় যখনি গেছি এতো সম্মান দেখিয়ছেন ভাষায় বলার নয়। উনার কারনে উনার অফিস আমাকে আ্লাদা মর্যাদা দিতো। আমার স্বামীকেও উনি খুব ভালবাসতেন। আমার কাছে উনার গিফট পাঠাতেন। আজ সবাইকে কাঁদিয়ে রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তা চলে গেলেন করোনার ছোবলে। অনেক বড় ক্ষতি হলো আর আমরা এক ভরসার স্থল হারালাম। আল্লাহ উনাকে তার স্নেহ ছায়ায় রাখুন। যাপিত জীবনের সব দোষ ত্রুটি মাফ করে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন