আমার থেকে বড় মাস্তান আর কেউ নাই
জেলা পুলিশের আয়োজনে এ সভার সভাপতিত্ব করেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম। অতীতের কথা উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ২০০১ সালের আগের শামীম ওসমান, আর ২০২০ সালের শামীম ওসমান এক নয়। আমি ইদানিং একটু ওয়াজে যাই। অনেকেই এ নিয়ে টিটকারী মারে। বাট আমি কোরআন শরীফটা পড়ি। বাইশ বছর ধরে তাহাজ্জুতটা ছাড়ি নাই। একটা লিস্ট করেছিলাম। এসপি সাহেবকে দেখালাম। সেখানে দেখলাম, ৭৫’র পর থেকে ৫০ জনের উপরে মারা গেল। একটা হত্যার বিচারও পাই নাই। দুই হাজারে বোম ব্লাস্ট হলো, মারা গেল, বিচার পাই নাই। ২০০১ সালের আগে পুলিশ ফোর্সের কাছে যতো অস্ত্র ছিল তার থেকে বেশি অস্ত্র একা আমার নিজের কাছেই ছিলো। তবে, আজকে আমার গাড়িতে অস্ত্র আছে কিনা তা আমি নিজেও জানি না। আমি সবসময় মনে করি আমি বিরোধী দল, আমি সাধারণ মানুষের দল। শামীম ওসমান বলেন, আমার রাজনৈতিক দর্শন আগে ছিলো একরকম। নিজের জন্য করতাম। জিন্দাবাদ শুনতে ভালো লাগতো। ২০০১ সালের পরে আমার এই চিন্তা পরিবর্তন হয়েছে। প্রশাসনের মধ্যে দলবাজিটা আমি পছন্দ করি না। আপনি যোগ্যতা সম্পন্ন এটাই আপনার কোয়ালিটি। রাজনীতিবিদ কিন্তু চোর, এমন রাজনীতিবিদ থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। এরা দেশকে খেয়ে ফেলে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে সৎ ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি সংসদ সদস্য হিসেবে নয়, জনগণ হিসেবেই তাদের প্রত্যেকটি কথায় টের পাই তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে চান। তাদের নিয়ে আমি গর্ব করি। সামাজিক অবক্ষয় রোধের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার একার পক্ষে নারায়ণগঞ্জকে ঠিক রাখা সম্ভব নয়। আপনাদের সকলকে নিয়েই নারায়ণগঞ্জকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য তিনি পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।