আমৃত্যু কারাগারেই থাকতে হবে সাঈদীকে
মানবতা-বিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপীল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ দুটি রিভিউ আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আপীল বিভাগ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়। আপিল বিভাগের সে সাজার বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ এবং দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। রাষ্ট্রপক্ষ চেয়েছিল মি: সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হোক এবং অন্যদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তার খালাস চেয়েছেন। কিন্তু আপিল বিভাগ উভয় পক্ষের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়। ১৯৭১ সালে মানবতা-বিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। কিন্তু সে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অর্ধ শতাধিক মানুষ নিহত হয়। ২০১৩ সালে ট্রাইবুনালের রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ অন্তত ২০টি মানবতাবিরোধী অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯শে জুন প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মি. সাঈদীকে এরপর একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পরের বছর ১৪ই জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।