ইংল্যান্ডের বহু মানুষ ক্যান্সারের শেষ ধাপে
উনচল্লিশ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক এমা ইউং। ৩৫ বছর বয়সে তার স্তন এবং হাড়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি জানান ‘ক্যান্সার হয়েছে সেটা না জানাটা সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। যখন আপনি পরীক্ষা বা স্ক্যান করাবেন তখন থেকে শুরু যতক্ষণ না পর্যন্ত রেজাল্ট দিচ্ছে তখন পর্যন্ত মনের ওপর যা চলতে থাকে তা অবর্ণনীয়।’ আপনি ঐ সময়টাকে স্ক্যানজাইটি বলতে পারেন, বলছিলেন এমা। ২০১৪ সালে ডাক্তার তার ভুল পরীক্ষা করে। এতে করে ক্যান্সার আরো কিছুটা ছড়িয়ে পড়ার সময় পায়। পরে জানা যায় তিনি স্তন এবং হাড়ের ক্যান্সারের আক্রান্ত। শুধু এমাই নন, ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্ট বলছে তারা এক নতুন গবেষণায় পেয়েছেন ইংল্যান্ডে হাজার হাজার মানুষ স্টেজ ফোর বা শেষ ধাপের ক্যান্সারে আক্রান্ত। আর ইংল্যান্ডের মত উন্নত দেশে এত মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত কেন হচ্ছে এবং কেনই বা একেবারে জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে টের পাচ্ছে? ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্ট বলছে নতুন চিকিৎসার কারণে এটা কমে এসেছিল কিন্তু তারা সতর্ক করে বলছে স্টেজ ফোর ক্যান্সার নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকাটা এখন নতুন এক জটিলতা তৈরি করেছে।
স্টেজ ফোর এমন একটা অবস্থা যখন রোগটা শরীরের এক অংশ থেকে আরেক অংশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং বেশির ভাগ সময় নিরাময় করা যায় না। আগে স্টেজ ফোর রোগীর হাতে খুব কম সময় থাকতো কিন্তু ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্ট বলছে নতুন গবেষণার তথ্য বলছে নতুন উন্নত মানের চিকিৎসার মাধ্যমে ‘আগের তুলনায় বেশি চিকিৎসাযোগ্য এবং অন্যান্য দুরারোগ্য রোগের মত পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে।’
যদিও ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্ট বলছে স্টেজ ফোর ক্যান্সার নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব কিন্তু এতে করে নতুন একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এন্ড অব লাইফ কেয়ার নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা এডরিন বেটলি বলছেন ‘এটা অবশ্যই ভাল খবর কিন্তু দুরারোগ্য এই রোগটির সঙ্গে দীর্ঘদিন বসবাস করা সত্যিই কঠিন পরিস্থিতি।’ তিনি বলেন ‘শারীরিক কষ্টের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন হাসপাতালে যাওয়া, ডাক্তারদের সময় নেয়া, টেস্ট করা এছাড়াও মানসিক, আবেগের জায়গাটাতো আছেই। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে একজন রোগী এমনিতেই মানসিকভাবে অসম্ভব ভেঙ্গে পড়েন।’ বিবিসি।