বার্তা ডেস্ক:: ২১ মার্চের মধ্যে সাড়ে ৭০০ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত নেই। ২ মার্চ চূড়ান্ত প্রকাশের পর ইউপিতে ভোট করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেক্ষেত্রে পবিত্র রমজানের আগে প্রথমধাপের ইউপির ভোট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, নানান কারণে মার্চে ভোট করা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়ে গেছে। ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। ফলে পুরাতন ভোটার তালিকা দিয়ে ভোট করলে জটিলতা হতে পারে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী, এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের কারণে স্কুল কলেজ ফাঁকা নাও পাওয়া যেতে পারে।

ইসির ঊধ্বর্তন এক কর্মকর্তা ইত্তেফাককে বলেন, কমিশন থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হওয়ার পর প্রথমধাপের ভোটের জন্য সিডি প্রস্তুত করার জন্য বলা হয়েছে। ২ মার্চের পর ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করেই প্রথম সপ্তাহে প্রথমধাপের তপসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আর ভোট হতে পারে রমজানের (১৪ এপ্রিল) আগেই। পরবর্তী ধাপগুলোর ভোট হবে রমজানের পর। ইসির সংশ্লিষ্টরা জানান, ৪৫৭১টি ইউপির মধ্যে ৪ হাজার ১০০ মতো ইউপিতে ভোট করা যাবে। ২০০ ইউপিতে মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন আটকে আছে।

গতবারের মতো আসন্ন ইউপির ভোটও হবে দলীয় প্রতীকে। চেয়ারম্যান বা মেম্বার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় চাউর হয়েছে যে, চেয়ারম্যান প্রার্থীর ক্ষেত্রে এইচএসসি এবং মেম্বার প্রার্থীর ক্ষেত্রে এসএসসি পাশ হতে হবে। এটিকে স্রেফ গুজব বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি ইত্তেফাককে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এ ধরনের কোনো উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়নি। কোনো পরিকল্পনাও নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য সংসদ সদস্যদের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না। সেখানে ইউপিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করা সংবিধান বিরোধীও।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn