ঢাকা : মহাজাগতিক কাণ্ডকারখানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ‘২০১২ টিসি৪’ নামে এক গ্রহাণু, প্রথমবার নজরে আসে হাওয়াই দ্বীপের ‘প্যান-স্টারস’ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে।অ্যাস্টোরয়েডটি ২০১২ সালে আবিষ্কৃত হয় বলেই এমন নামকরণ করা হয় তার।প্রথম বার দেখা দেওয়ার পরেই মহাশূণ্যে হারিয়ে যায় গ্রহাণুটি। কিন্তু, চলতি বছরের জুলাই মাসে আবারও তা নজরে আসে। এবং এবার তা ছিল ‘লুনার অরবিট’-এর মধ্যে। তখনই বৈজ্ঞানিকরা বুঝতে পারেন যে, গ্রহাণুটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে।৫০ থেকে ১০০ ফুট ব্যাসের গ্রহাণুটির গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৬ হাজার মাইল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আজ, ভারতীয় সময় সকাল ১১:১০ নাগাদ গ্রহাণুটি পৃথিবীর খুবই কাছ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। আন্টার্কটিকা থেকে তার দূরত্ব ছিল ২৭০০০ মাইলের থেকেও কিছু কম।পৃথিবী পৃষ্ঠের নিরিখে ‘২৭০০০ মাইল’ অনেক মনে হলেও, মহাকাশে তা কিছুই নয়।বলা যেতে পারে, পৃথিবী ও চন্দ্রের মধ্যেকার দূরত্বের আট ভাগের এক ভাগ মাত্র।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৩ সালে, রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্ক অঞ্চলে উল্কাপাত হয়। প্রায় ১০০০ মানুষ আহত হয়েছিলেন এই উল্কাপাতের ফলে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বাড়ি-ঘরও। তবে, উল্কাপাতে ছোট ছোট পাথর এসে পড়ে মহাজগৎ থেকে। কিন্তু গ্রহাণু একটি বিশাল বস্তু, যার ধাক্কায় ক্ষতি হতে পারে পৃথিবীর একটি বিশাল অংশ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn