আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩১ জনের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘এবার নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩১ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ভোটার কর্তনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ২ জনের এবং ভোটার স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেছেন ৬০ হাজার ৮৭৬ জন। গত ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।’তিনি বলেন, ‘নতুন ভোটার নিবন্ধনে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ লাখ। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ ভাগ পূরণ হয়েছে। বিদ্যমান ১০ কোটি ১৬ লাখ ভোটারের শতকরা হার ৩.৫ শতাংশের মধ্যে ২.৪ শতাংশ নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ হবে এবং যেসব নাগরিক যোগ্য হওয়ার পরও বিভিন্ন কারণে ভোটার হতে পারেননি কেবল তাদের ভোটার হতে পেরেছেন।এর আগে গত ২৫ জুলাই মঙ্গলবার ময়মনসিংহের টাউনহলে ভোটার হালনাগাদ কার‌্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।ইসি সূত্রে জানা যায়, ভোটার হালনাগাদের এ ধাপে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের পর এসব নাগরিকের নিবন্ধনের কাজ চলবে ২০ আগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রথম ধাপে ১৮৩টি উপজেলায় ২২ দিনে, দ্বিতীয় ধাপে ২১৬টি উপজেলায় ২৮ দিনে, তৃতীয়  ধাপে ১১৮টি উপজেলায় ২১ দিনে কাজ শেষ করা হবে। এই কাজ শেষ হবে ৫ নভেম্বর। ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণ, মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা যাবে।

আরও জানা যায়, দেশব্যাপী ২০০৭, ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটারদের তালিকা প্রণয়ণের পর ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। ১০ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬৭ জন ভোটার নিয়ে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।

২০১৫ সালের হালনাগাদ কার্যক্রমে তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে নেয়া হয়েছিল, যেখানে ভোটার যোগ্য নাগরিকদের সংখ্যা বিদ্যমান ভোটারের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। বাস্তবে দেখা যায় ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ নিবন্ধিত হয়েছিল। ২০১৭ সালের হালনাগাদ কার্যক্রমে বাদ পড়া ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ (প্রায় ৩৫ লাখ) নতুন ভোটার  নিবন্ধিত হবে বলে ধারণা করেছিল কমিশন।

আগামী ২ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। দাবি, আপত্তি ও সংশোধনের জন্য দরখাস্ত দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ জানুয়ারি। দাবি, আপত্তি ও সংশোধন নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ২২ জানুয়ারি। দাবি, আপত্তি ও সংশোধনীর জন্য দাখিলকৃত দরখাস্তের উপর গৃহীত সিদ্ধান্ত সন্নিবেশনের শেষ তারিখ ২৭ জানুয়ারি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ জানুয়ারি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn