নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশ কনস্টেবল রুবেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন দলবল নিয়ে আত্মগোপন করেছেন।কেউ বলছেন স্বপন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে গেছেন। আবার কেউ বলছেন ভারত হয়ে মালোশিয়া গেছেন।তবে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের তিন দিনেও এজাহারনামীয় ৩২ আসামির কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে হতাশায় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নিহতের পরিবার।মামলায় চেয়ারম্যান স্বপন ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- ফরিদ, সোহেল, আনোয়ার হোসেন, লিটন, তারা মিয়া, লাল মিয়া, মহিউদ্দিন, ওবায়দুল ইসলাম বাদল, আব্বাস আলী, আব্দুর রাজ্জাক, কবির হোসেন, মজিবুর রহমান, সিরাজ মিয়া, ইয়াছিন, সুজন, রফিক মিয়া তার ভাই শহিদুল্লাহ, রফিক আলী, কাশেম, কালাম, ইউসুফ, শাহীন, ইমন আলী, আবু কালাম, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, আতশ আলী, হৃদয়, জাফর আলী, পাবেল ও কামাল।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, নিহত রুবেল মাহমুদ সুমন এই হত্যা মামলার বাদী কামাল হোসেনের ছোট ভাই। তিনি ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কনস্টেবল (আইডি নং-২২১৪১) পদে কর্মরত ছিলেন।ঈদের ছুটিতে গত ১ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়িতে আসেন তিনি। পূর্বশত্রুতার জের ধরে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন তার লোকজন নিয়ে কামাল হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।এ সময় কামালের ছোট ভাই কনস্টেবল রুবেল মাহমুদ সুমন ঘর থেকে বের হলে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।মামলার অভিযোগে দাবি করা হয়, প্রথমে চেয়ারম্যান স্বপন পিস্তল দিয়ে রুবেলের মাথায় গুলি করেন। এ সময় রুবেলের শ্যালক শাওন ও স্ত্রী সাথী আক্তার এগিয়ে গেলে তাদেরও টেঁটা দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এরপর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে গেলে তাদেরও টেঁটাবিদ্ধ করে হামলাকারীরা। তারপর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রুবেলের মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বপন তার বাহিনী নিয়ে পালিয়ে যান।

মামলার বাদী কামাল হোসেন জানান, তার বাবা রূপ মিয়া মেম্বার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা হওয়ায় তাকে বার বার নির্যাতিত হতে হয়েছে। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে একাধিকবার তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। তার বাবা রূপ মিয়ার হাত কেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এরপরও তার বাবাকে হত্যার চেষ্টা করে আসছে।কামাল তার ছোট ভাইয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান।তিনি আরও বলেন, ‘স্বপন দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ ও শেরপুর জেলায় স্বপন প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ কিনেছেন।’ এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ওসি এমএ হক জানান, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn