কাউয়া’, ‘মুরগি’ না লিখতে কাদেরের অনুরোধ
দলে অবাঞ্ছিতদের অনুপ্রবেশ বোঝাতে দলের কিছু নেতাকর্মীকে ‘কাউয়া’ বা ‘ফার্মের মুরগি’ উপমা দিয়ে সমালোচনায় পড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব শব্দ না লিখতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করেছেন। দলের নেতাকর্মীদের রিফ্রেশমেন্টের জন্য মজা করে তিনি এমন শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
বুধবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অনুরোধ জানান। সম্প্রতি সিলেটে দলের এক প্রতিনিধি সভায় ‘সংগঠনে কাউয়া ঢুকেছে’ বলে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন ওবায়দুল কাদের। এর রেশ কাটতে না কাটতেই গত ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘সিলেটে বলেছিলাম, কাউয়া, এখানে আর কাউয়া বলবো না। কিন্তু এখানেও মনে হয় ফার্মের মুরগি ঢুকে গেছে। দেশি মুরগি দরকার, ফার্মের মুরগি দরকার নাই। এটা স্বাস্থ্যকর নয়।’
মুজিবনগরের আলোচনায় তিনি আরও বলেছিলেন, ‘দেশি মুরগি কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে, ফার্মের মুরগি ঢুকতেছে। একটু খেয়াল রাইখেন।’ এরপর জনসভায় উপস্থিত কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মঞ্চে উপস্থিত নেতাদেরকে দেখিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওখানে কোনো সমস্যা সেই, এইখানে সমস্যা। এই যে দেখেন, পুরা মঞ্চে নেতা, তো আর নেতা, বিলবোর্ডে দেখি আতি নেতা, পাতি নেতা, ছোট নেতা, বুড়া নেতা, সিকি নেতা, আধুলি নেতা, নেতার আর অভাব নাই।’
দলের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যে অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমন উপমা ব্যবহার করে তিনি দলের কর্মীদের অপমান করেছেন বলে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন। এসব উপমা ব্যবহারের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেহেরপুরে আমি ২৭ মিনিট বক্তব্য দিয়েছি। কিন্তু সাংবাদিকরা আমার বক্তব্যের শেষের দিকের মুরগির বক্তব্যের কথাটা লিখেছেন। আমি এগুলো মজা করে বলেছি। নেতাকর্মীদের রিফ্রেশমেন্টের জন্য এসবের দরকার আছে। পরে হাতজোড় করে কাউয়া-মুরগি না লিখতে তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।