কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ
বার্তা ডেস্ক :: ঢাকার কেরানীগঞ্জে কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কদমতলী মডেল টাউনের আলবারাকা গলির ৮ তলা বাড়ির ৬ তলার একটি ফ্ল্যাটে। পরে ওই নারীকে মারধর করে বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে যাওয়ার সময় হালিম নামে এক ধর্ষককে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় ধর্ষক জাফর ও হালিমের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই নারী টাইলস মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। শুক্রবার টাইলস মিস্ত্রি জাফর তাকে মোবাইলে বলে- হালিম নামে এক লোক তোমাকে ফোন দিবে। ফোন দিলে তুমি তার সঙ্গে গিয়ে কাজের সাইট দেখতে যাবে। এরপর হালিম ফোন দিয়ে ওই নারীকে কদমতলী মডেল টাউনে কাজের সাইট দেখতে আসতে বলে। তিনি কদমতলী মডেল টাউন এলাকায় এলে হালিম তাকে আলবারাকা গলির আবু সিদ্দিকের ৮ তলা বাড়ির ৬ তলার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়।
ওখানে জাফরসহ অজ্ঞাত কয়েকজন আগেই উপস্থিত ছিল। ফ্ল্যাটে ঢোকার পর বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী বাইরে থেকে ঘরে তালা মেরে চলে যায়। এরপর হালিম তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে জাফর ধর্ষণ করে। পর্যায়ক্রমে উপস্থিত অজ্ঞাত আসামিরাও তাকে ধর্ষণ করে। এভাবে সারারাত ধরে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী তাকে লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার ভোরে তাকে বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে যাওয়ার সময় বালুর ট্রাক শ্রমিকরা উদ্ধার করে এবং হালিমকে আটক করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি থানায় আসেন। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।