কাশ্মিরীরা আসলে প্রকৃতির বন্দী”
মাসুদা ভাট্টি এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে-জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ হলো, আজাদ কাশ্মীর পাকিস্তানের তাহলে কাশ্মিরীদের থাকলো কি? ভারত ৩৭০ ধারা তুলে দিলে হাহাকার পড়ে যাচ্ছে চারদিকে, আজাদ কাশ্মিরের দখলদারীত্ব নিয়ে কোনো কথা নাই কারো মুখে। বহুদিন আগে আমার কাশ্মিরী বন্ধুদের সংগে ভারতীয় বন্ধুদের তারুণ্যের ক্যাচাল মেটানোয় প্রায়শ:ই মধ্যস্থতা করতে হতো আমাকে। উত্তর ভারত তথা গুজরাটি বন্ধুরা কাশ্মিরীদের দেখতেই পারতো না। অন্য ভারত কাশ্মিরের অধিকার নিয়ে সোচ্চার, সম্পর্কও ভালোই ছিল দু’পক্ষের। পাকিস্তানী কাশ্মিরীরা কোনো ভাবেই ভারতীয় কাশ্মিরীদের মেনে নেয় না, নিজেরাও কী করবে বুঝতে পারে না। দু’দিকের কাশ্মিরী বন্ধুদেরই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বার বার বলতে শুনেছি, “প্রকৃতিই আমাদের মেরে রেখেছে চারদিকে শত্রু দিয়ে ঘিরে রেখে আর তার ওপর দিয়েছে পাঁচটি নদীর উৎসকে চাপিয়ে, এই নদী বেরুবে কোথায় বলো? কাশ্মিরীদের অবস্থা এই নদীগুলোর মতো, বেরুতে গেলেই কারো না কারো বাড়ির আঙিনায় ঢুকতে হবে। কে দেবে বিনি পয়সায় এই পথ? তাই ভারত-পাকিস্তান-চীন সবাই আমাদের পানি চায় শুধু কাশ্মিরের মানুষ চায় না; কাশ্মিরীরা আসলে প্রকৃতির বন্দী”। আসল রাজনীতিটা যে পানির সেকথা আমরা বুঝেও বুঝি না, নদী এবং কাশ্মিরের মানুষের — হিন্দু কি মুসলিম চোখের জলের রং কিংবা নদীর জলের রং তো আর আলাদা হতে পারে না, তাই না?