‘খালেদার জিয়ার ভিডিও’ নিয়ে রিজভীর ব্যাখ্যা
তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিতরা কাজ করে। কিন্তু তাদের মানসিকতা বস্তির চেয়েও নিম্ন মানের। উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কাটিং পেস্ট করে এই নোংড়া অপপ্রচার করছে। তাদের অন্তরে শিক্ষার কোনো আলো নেই। বাড়ির একটা বখাটে ছেলে যেমন ফেনসিডিল খায়, ছিনতাই করে, আওয়ামী লীগও তেমনি রাজনীতির বখাটে সন্তান।’ রিজভী বলেন, ‘এই ধরনের অপপ্রচার নিম্নরুচির পরিচায়ক। যারা কুরুচিসম্পন্ন এবং যারা অপরাজনীতি ও অসভ্যতার চর্চা করে তারাই কেবল অসত্য ও নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নেয়। আওয়ামী লীগ কুৎসা সঞ্চারিত মনের বিকারে ভোগে। তাদের ঐতিহ্যে সভ্যতা ও সুরুচির কখনোই কোন নিদর্শন ছিল না। সে জন্য তাদের কোনো কথাই জনগণ বিশ্বাস করে না। আমি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে আরও অবনতি হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করার পর বেগম জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে এখনও তার পছন্দ অনুযায়ী হাসপাতাল ও ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে সরকার প্রতিহিংসা বাস্তবায়নে চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এগুচ্ছে কি না তা নিয়ে জনমনে এখন নানা প্রশ্ন ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার ক্রমাগত অবনতির খবরে গোটা জাতি এখন চরম উদ্বিগ্ন। দেশনেত্রীকে নিয়ে সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভৎস মূর্তি মানবজাতিকেই শিহরিত করছে। আমি আবারও অতি দ্রুত দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’ গতকাল দেশব্যাপী যুব দলের বিক্ষোভে ঢাকা মহানগর এবং পটুয়াখালীতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির এ নেতা। একই সঙ্গে তাদের মুক্তি দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ দফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।