ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন রুশ জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন। গত বছরের অক্টোবরে নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি ইউক্রেনকে নাস্তানাবুদ করতে বহু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন। আকাশ থেকে হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোর বড় একটি অংশ ধ্বংস করেছেন। সর্বশেষ দনেতস্ক অঞ্চলের সোলেদার শহর দখলে নিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এরপরেও তাকে সরিয়ে ইউক্রেনে নতুন কম্যান্ডার নিযুক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিবিসি জানিয়েছে, এখন থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির চিফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ। এর আগে তিন মাস এ দায়িত্বে ছিলেন সুরোভিকিন। বহুদিন ধরে থাকা অচলাবস্থার পর সর্বশেষ সপ্তাহগুলোতে বিভিন্ন স্থানেই আগাতে শুরু করেছিল রাশিয়ার বাহিনী। এমন অবস্থায় কেনো সুরোভিকিনকে সরিয়ে দেয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভ্যালেরি গেরাসিমভ ২০১২ সাল থেকে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর চিফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ পদে আছেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী যুগে রাশিয়ায় তিনিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এখন থেকে তার ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন সুরোভিকিন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেন যুদ্ধের কমান্ডার পদে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন শাখার মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য কমান্ডার পাল্টানো হয়েছে। রুশ বাহিনীর ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতা ও মান বাড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লবণখনি সমৃদ্ধ শহর সোলেদারের দখল নিয়ে ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে রুশ বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। এ অবস্থায় কমান্ডার পরিবর্তন করলেন পুতিন। সামরিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন, এই রদবদলের ফলে জেনারেল সুরোভিকিন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। সামরিক বিশ্লেষক রব লি টুইটারে লিখেছেন, ইউক্রেনের সমন্বিত কমান্ডার হিসাবে সুরোভিকিন খুব শক্তিশালী হয়ে উঠছিলেন। তিনি রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোইগু ও জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে বাদ দিয়েই সরাসরি পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করতেন। রাশিয়ার সামরিক ব্লগারদের মধ্যে নতুন কম্যান্ডার গেরাসিমভকে নিয়ে নেতিবাচক পোস্ট লিখতে দেখা যাচ্ছে। তারা রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পক্ষে। তবে যেভাবে ধীর গতিতে এই অভিযান চালানো হচ্ছে, তা নিয়ে তারা সন্তষ্ট নয়।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৮২ বার