গ্রেনেড হামলা মামলায় পাঁচ আসামির খালাস চেয়েছেন আইনজীবীরা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যুক্তি উপস্থাপনে পাঁচ পলাতক আসামির খালাস চেয়েছেন তাদের আইনজীবীরা। বুধবার ঢাকার ১নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর-উদ্দিনের আদালতে পলাতক পাঁচ আসামির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রের নিযুক্ত পাঁচ কৌঁসুলি। আসামি হানিফের পক্ষে আইনজীবী চৈতন্য চন্দ্র হালদার, আসামি কায়কোবাদের পক্ষে আইনজীবী আশরাফ উল আলম, আসামি হারিফ চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী আবু তৈয়ব, আসামি খলিলের পক্ষে আইনজীবী খলিল ও আসামি আনিসুল মুরসালিনের পক্ষে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন যুক্তি উপস্থাপন করেন। আইনজীবীরা বলেন, আসামিদের পক্ষে অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছেন। আসামিরা খালাস পাবার যোগ্য। তাই মামলায় আসামিদের খালাস চাচ্ছি। এদিন আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। আলোচিত এ মামলায় ৫১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আর ২০ জনের সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
ঘটনার পরের দিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। ২০০৮ সালের ১১ জুন মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটির তদন্তের ভার পান সিআইডির পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি অভিযোগপত্র দেন। অন্য মামলায় জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে এ মামলায় এখন আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ জন। এর মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া জামিনে আটজন এবং কারাগারে রয়েছেন ২৩ জন।