চকরিয়ায় মুসলিম মেয়েকে জোর করে হিন্দু বানিয়ে ধর্ষন
ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন-
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ফাশিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া নামক স্থানের বাসিন্দা মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী সুমি (১৭) কে মুসলিম পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক করে জোর করে তুলে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে হিন্দু সাজিয়ে ০৮ মাস ধরে ধর্ষন করে আসছে হিন্দু ধর্ম্বাবলম্নী যুবক কান্চন( ২৮)।
বিস্তারিত খবরে জানা যায়, কক্সবাজারের খুরুস্কুল হিন্দু পাড়ার ছেলে কান্চন চাকরি করেন চকরিয়ার লাভা ভিডিও এন্ড মিক্সচার সেন্টার নামক দোকানে। বিয়ের অনুষ্ঠান ভিডিও করতে যাওয়ার সুবাদে পরিচয় হয় চকরিয়া ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়ার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী সুমির সাথে। নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে প্রায় ফোনে কথা বলত কান্চন সুমির সাথে। সেই সাথে সরল বিশ্বাসে সুমি কান্চনের প্রেমে পড়ে যায়। একদিন দেখা করার নাম করে কান্চন সুমি কে ঘর থেকে বের করে জোর করে সিএনজি তে তুলে নিয়ে অঙ্গাতনামা স্থানে নিয়ে যায়। এদিকে মেয়ে কে না পেয়ে সুমির বাবা বিভিন্ন স্থানে খুজতে খুজতে দিশেহারা হয়ে পড়ে। ঘটনার প্রায় আট মাস পর সুমির এক নিকট আত্মীয় সন্দেহপ্রবন হয়ে কান্চন কে ফোন করে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে ভিডিও ভাড়া নেওয়ার নাম করে চকরিয়া সওদাগর ঘোনা নামক স্থানে নিয়ে আসে। সেখানে কান্চন কে বেধে রেখে মারধর আরম্ভ করলে কান্চন স্বীকার করে সুমি তার কাছেই আছে। তার স্বীকারউক্তি মোতাবেক সুমি কে উদ্ধার করে নিয়ে আসলে বের হয় লোমহর্ষক কাহিনী। লম্পট কান্চন সুমি কে জোর করে হিন্দু বানিয়ে নাম দে সুমি দে। সুমির ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাথায় সিধুর কপালে টিপ পরিয়ে নির্জন এক রুমে আটকিয়ে মাসের পর মাস ধর্ষন করে লম্পট কান্চন।
উদ্ধার হওয়া সুমি তার মা কে বলেন মা আমি হিন্দু হতে চাইনা, ওরা আমাকে জোর করে হিন্দু বানাতে চাই, মা আমি বাঁচতে চাই।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফাশিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান, গিয়াস উদ্দিন চৌং জানান, বর্তমানে হিন্দু যুবক কান্চন ও সুমি আমার হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করছি।