ছাতকঃ ব্যবসায়ীদের পাথর জব্দের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা
ছাতকে ইসলামপুর ইউনিয়নের বাইরংনদীর ডাম্পিং সাইড থেকে ব্যবসায়ীদের পাথর জব্দ করায় ছাতকে ব্যবসায়ী সংগঠনের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা শনিবার রাতে শহরের পুরাতন কাষ্টমরোডে অনুষ্টিত হয়েছে। ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাই আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, পাথর ব্যবসায়ী সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবরু মিয়া তালুকদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী হেলাল উদ্দিন, হাজী ইছহাক আলী, হাজী নুরু মিয়া তালুকদার,ছাতক লাইম ষ্টোন ইম্পোটার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের প্রেসিডেন্ট আহমদ সাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী, সেক্রেটারী সৈয়দ তৌফিক আহমদ ইকবাল, পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি অদুদ আলম চেয়ারম্যান, সাধারন সম্পাদক সামছু মিয়া, বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইলিয়াছ চৌধুরী, ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল জলিল, হাজী সুরুজ মিয়া, হাজী আরিছ উদ্দিন, ফজলু মিয়া চৌধুরী, হাজী সামসুল ইসলাম, আবুহুরায়রা ছুরত, সালেহ আহমদ, তাহের আলম, বাবুল মিয়া, অরুন কুমার দাস, হাজী আলী আজগর সোহাগ, ফয়েজ আহমদ,নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি এবাদুর রহমান, সুকানী সমিতির সভাপতি মকবুল আলী, ট্রান্সপোর্ট সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, লেভার সর্দার সমিতির সভাপতি মনু মিয়া, সাধারন সম্পাদক লিটন রায় প্রমূখ। জানা যায় গত ২৩ জুন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ, সহকারী পরিচালক (ভুতত্ত্ব) আলমগীর হোসেন, সহকারী পরিচালক (ভু-পদার্থ) মাহফুজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের একটি টিম উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ইসলামপুর ইউনিয়নের বাইরংনদীর তীরে অভিযান চালিয়ে সমশর আলী, আমান আলী, অদুদ আলম, তাহের আলম, আমির উদ্দিনসহ ৩৮জন ব্যবসায়ীর প্রায় এক লক্ষ ঘনফুট পাথর জব্দ করেছেন। কোটি টাকা মূল্যের পাথর খনি ও খনিজ সম্পদ বিধি মালা ২০১২এর ২৩/২বিধিতে আটক করে তারা তাৎক্ষনিক নিলামে বিক্রির জন্য মাইকিং করে এলাকায় প্রচার করেন। কোন ক্রেতা না পেয়ে পাথরের ডাম্পিং সাইডে লাল পতাকা টানিয়ে জব্দ পাথর ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। শনিবার রাতে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ছাতকের পাথর ব্যবসাকে ধ্বংশ করতে একটি মহলের প্ররোচনায় অবৈধভাবে খনিজ মন্ত্রনালয়ের একটি দল ব্যবসায়ীদের পাথর গুলো জব্দ করেছে। যেখানে পাথর উত্তোলন ও বিক্রি করা হয় সেখানে অভিযান না চালিয়ে শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের ষ্টকে পরিকল্পিত অভিযান চালানো হয়েছে। এতে ছাতকের ব্যবসায়ীগন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। কোম্পানীগঞ্জ কোয়ারী এলাকা থেকে পাথর ক্রয় করে ডাম্পিং সাইডে রাখার পর ব্যবসায়ীদের পাথর জব্দ ও নিলামে বিক্রির ঘোষনা দেয়া অবৈধ দাবী করে বক্তারা অভিলম্বে ব্যবসায়ীদের পাথর বুঝিয়ে দেয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী উচ্চারন করে তারা ছাতকের সাথে সড়ক ও নৌ-পথ বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার ছাতক শহরে বিশাল মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসুচী পালনের ঘোষনা দেন তারা। আন্দোলন কর্মসুচী পালনের লক্ষে সভায় আহমদ সাখাওয়াত সেলিম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আন্দোলন কমিটি গঠন করা হয়েছে।