ছাতকবাসীর দুর্ভোগের শেষ কবে?
হেলাল আহমদ-
ছাতকে দীর্ঘদিন থেকে রাস্তা সংস্কার ও মেরামত না করায় উপজেলার প্রায় সবকয়টি রাস্তা এখন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে উঠেছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই! অধিকাংশ রাস্তায় যানবাহন চলাচল করাও এখন চরম হুমকির সম্মূখিন। প্রতিটি রাস্তার কার্পেটিং উঠে খানা-খন্দকে পরিনত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে এসব খানা-খন্দকপূর্ন সড়কে পানি জমে একেকটি সড়ক যেন হয়ে উঠেছে একাধিক মিনি পুকুর। এসব ভয়াবহ ভাঙ্গন কবলিত সড়কগুলোতে যানবাহনে লক্কর-ঝক্কর অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকজন প্রতিদিনই ছুটছেন গন্তব্যে। এভাবে রাস্তার খানা-খন্দকের উপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, হাট-বাজারে আগত ক্রেতা-বিত্রেতাসহ সর্বস্তরের লোকজন অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাগুলোর সংস্কার ও মেরামত না হওয়ায় কবে হবে সংস্কার কাজ এমন প্রশ্নই দেখা দিয়েছে জনমনে।
জানা যায়, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গ্রামীণ পাকা সড়ক রয়েছে ৩শ’ ১৬কিঃমিঃ ও কাঁচা রাস্তা ৩শ’ ১৪কিঃমিঃ। এরমধ্যে উপজেলা এলজিইডি থেকে ৮০কিঃমিটার পাকা সড়কের ভাঙ্গন দাবি করলেও প্রকৃত পক্ষে আড়াইশ’ কিঃমিটার সড়ক মারাত্মক ভাঙ্গন কবলিত রয়েছে। প্রায় একযূগ থেকে এসব ভাঙ্গন কবলিত রাস্তা সংস্কারে উর্ধতন মহলে কোন প্রস্তাব করেনি সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী সমরেন্দ্র তালুকদার। তার বিরুদ্ধে ছিল সংস্কারের নামে লুঠপাটের ব্যাপক অভিযোগ। সে সময়ে সংস্কারকৃত রাস্তা মেরামতে দেয়া হয় বিটুমিনের বদলে পুরাতন মবিল। ভাঙ্গা রাস্তাগুলো হচ্ছে, হাসনাবাদ-নয়ালম্বাহাটি, তাজপুর-নূরুল্লাপুর, পালপুর-জাতুয়া, গোবিন্দগঞ্জ-দশঘর, গোবিন্দগঞ্জ-বসন্তপুর, জালালপুর-লামারসুলগঞ্জ, বুড়াইগাঁও-আলমপুর, মৈশাপুর-কাঞ্চনপুর, নোয়ারাই-চাইরগাঁও, নোয়ারাই-দোয়ারাবাজার, ছাতক-জাউয়া, ছাতক-আমবাড়ি-সুনামগঞ্জ, নোয়ারাই-বাংলাবাজার, কৈতক-কামারগাঁও, কালিপুর-সিরাজগঞ্জ, জাউয়া-জিয়াপুর-কচুরগাঁও, বুড়াইগাঁও-বাউভূগলী, পীরপুর-সিকন্দরপুর, জাতুয়া-মনিরজ্ঞাতি-মানিকগঞ্জ, পালপুর-সিংচাপইড়সহ অন্যান্য সড়ক। প্রত্যহ এসব রাস্তায় ঘটছে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ফলে ৩লক্ষাধিক লোকজন যাতায়াতের ক্ষেত্রে এখন চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবুল মনসুর জানান, উপজেলার ৩শ’১৬কিঃমিঃ রাস্তার মধ্যে ৮০কিঃমিঃ ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কারের জন্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ৫কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এবছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পে বরাদ্ধ আসতে পারে বলে তিনি জানান।