ছাতকের আরো কিছু খবর-পাঠিয়েছেন চান মিয়া
আ’লীগের পৃথক কর্মসূচি
ছাতকের আ’লীগের বিবদমান দু’গ্রুপে পৃথক কর্মসূচিতে উত্তপ্ত ছিল ধারণবাজার এলাকা। সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক সমর্থকরা সিংচাপইড় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মো. সাহেলকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাতক পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর সমর্থকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। শনিবার উত্তর খুরমা ইউপি আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ইউপি আ’লীগ সভাপতি আরশ আলী খান ভাসানীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান রাসেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জজ কোর্টের এপিপি এড. সায়াদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজ সেবী হাজি ইছাক আলী মহাজন, ইউপি আ’লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক আজাদ মিয়া মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক সুরাব আলী। উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মেম্বার ফিরোজ আলী, ছাদ উদ্দিন, মৃদুল মিয়া, আজিজুর রহমান আজিল, জসিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান, আল- আমিন, ছইল মিয়া প্রমুখ। শোসভা চলাকালে এমপি মানিক সমর্থকরা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেলের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষাভ মিছিল করে। এসময় সর্বত্র চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দু’পক্ষের পাল্টা-পাল্টি কর্মসুচিতে ধারণবাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়লেও অবশেষে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দু’টি কর্মসুচি পালন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
খেলাফত মজলিসের দায়িত্বশীল বৈঠক
ছাতক উপজেলা খেলাফত মজলিসের দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জাউয়াবাজার নুরে মদীনা কিন্ডার গার্টেনে উপজেলা সভাপতি মাওলানা আখতার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু সাঈদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে খেলাফত মজলিসের উপজেলা শাখার অধিনস্থ সকল ইউনিয়ন দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে দাওয়াতের গুরুত্ব সম্পর্কে দারসে কোরআন পেশ করেন, জাউয়া দারুল হাদীস মাদরাসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা সাঈদ আহমদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেদ্দা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওবায়দুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম, মক্কা মহানগর শাখার সহ-সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি কেএম আমির আলী, মাওলানা সালেহ আহমদ ও মাওলানা জসিম উদ্দিন, সহ-সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসনাত, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম মোশাহিদ আলী, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা কাওছার আহমদ, প্রচার সম্পাদক জুনেদ আহমদ, নির্বাহি সদস্য মাওলানা আবু সুফিয়ান। বক্তব্য রাখেন, উত্তর খুরমা ইউনিয়ন সভাপতি ইকবাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মুফতি সা’দ আহমদ, সহ-সভাপতি মাওলানা সালেহ আহমদ, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা গোলাম রব্বানী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আকবর, জাউয়া ইউপি সহ-সভাপতি এহিয়া আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাওলানা ফয়জুল আমীন, দক্ষিণ খুরমা ইউপি সভাপতি মাওলানা মোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এহসান আহমদ, সিংচাপইড় ইউপি সভাপতি আমরুজ আলী, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আমিরুল ইসলাম, চরমহল্লা ইউপি সভাপতি মাওলানা শিব্বির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাহিদ আহমদ, ভাতগাঁও (পূর্ব) ইউপি সভাপতি মাওলানা আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, ভাতগাঁও (পশ্চিম) ইউপি সভাপতি আবদুল আলীম, আঙ্গুর আলী, মাওলানা সাজ্জাদ আহমদসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
করিমুন খুন: মামলার বাদির সংবাদ সম্মেলন
ছাতকে করিমুন হত্যা মামলার প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে আসামিরা নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ছাতক প্রেসকাবে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মামলার বাদি লায়েছ মিয়া। এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সম্মেলনে বাদির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাইফুল ইসলাম-মহসিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাজি জমসর আলী, বাবুল মিয়া, বসির উদ্দিন, মাহবুবুর রশিদ, রইছ আলী, ইসলাম উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল হাসিম, ছালিক মিয়া, আছমত আলী, রইছ মিয়া, লল মিয়া, মকবুল আলীসহ স্থানীয় খিদুরা ও লাড়িগাঁও গ্রামের লোকজন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৫জুন উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউপির লাড়িগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র লায়েছ মিয়ার সাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তার বসতবাড়িতে সহযোগিদের নিয়ে হামলা করে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর পুত্র আরিফ আলী। এতে বাদিও তার মাতাসহ কয়েকজন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত করিমুন নেছাকে ছাতক হাসপাতালে ভর্তির পর ২৭জুন হাসপাতাল থেকে রহস্যজনক কারনে ছাড়পত্র দেয়া হলে বাড়িতে নেয়ার পর অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। এতে ২৯জুন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর ৩০জুন ভোরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় করিমুন নেছা মৃত্যুবরণ করেন। এতে ৩জুলাই তার পুত্র লায়েছ মিয়া বাদি হয়ে ছাতক থানায় ১৮ব্যক্তির নামে হত্যা মামলা (নং ০৫, তাং- ০৩.০৭.২০১৭ইং) দায়ের করেন। এরপর আসামিরা বাদিও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার অব্যাহত হুমকি ও প্রাননাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এব্যাপারে বাদি থানায় একটি জিডি (নং ৩৩৬, তাং ০৮.০৭.২০১৭ইং) রুজু করেছেন। এছাড়া একটি প্রভাবশালিমহলের অপতৎপরতায় মূল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের লক্ষ্যে স্থানীয় ও জাতিয় পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে ঘটনাকে বিকৃত করে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা, সাজানো, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অপপ্রচার চালিয়ে প্রশাসনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার বাদি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ডিজিটাল কার্যক্রম স্থবির-
ছাতকে গোবি›ঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপির ধারণবাজার (জাতুয়া) পোষ্ট ই-সেন্টারের ল্যাপটপ বাসায় রেখেই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ ই-সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের এক্সেস টু-ইনফরমেশন কর্মসূচির আওতায় ২০১৫সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয় পোষ্ট ই-সেন্টারের সেবা কেন্দ্রের কার্যক্রম। সরকার ডাক বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবতিদের কম্পিউটার প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মক্ষম ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলতে একার্যক্রম চালু করা হয়। এসময় সরকার ৩টি ল্যাপটপসহ প্রায় চার লক্ষ টাকার মালামাল প্রদান করে। কিন্তু এসব মালামাল দেয়ার পরও এখানে ই-সেবা কার্যক্রম চালু না করে ল্যাপটপগুলো পোষ্ট মাষ্টার ও উদ্যোক্তার বাসায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে একটি ল্যাপটপ দিয়েই চলছে অফিসের দায়সাড়া কার্যক্রম। কম্পোজ ও ইমেইল সেবা কার্যক্রমের ব্যাপারে অনেকটাই অবগত নন উদোক্তা নূর আহমদ। কম্পোজ না জেনেও তিনি এখন ই-সেন্টারের উদ্যোক্তা। ফলে পোষ্ট ই-সেন্টারের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। এখানে ই-সেন্টার চালুর দীর্ঘদিন পরও প্রশিক্ষানার্থী ভর্তি এমনকি কাউকে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যায়নি। তবে উদ্যোক্তা নূর আহমদ সেবা নিতে আসা লোকজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে জাতুয়া পোষ্ট মাষ্টার ইসরাইল আলী বলেন, আগে শিক্ষিত যুবক-যুবতিদের ভর্তি করে এখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হতো। কিন্তু এখন এব্যবস্থা নেই। তবে ই-সেন্টারে কেন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছেনা একমাত্র উদ্যোক্তাই এসব বলতে পারবে। এব্যাপারে ছাতক হেড পোষ্ট অফিসের উদ্যোক্তা খায়রুল ইসলাম জানান, দক্ষ জনশক্তি গড়ার লক্ষ্যে সরকার পোষ্ট ই-সেন্টার চালু করেছে। তবে অনেক উদ্যোক্তা সেন্টারের দায়িত্ব নিয়ে দায়িত্বহীন হওয়ায় অনেক সেন্টারে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ছাতক হেড অফিসের পোষ্ট মাষ্টার মো. শাহজাহান জানান, প্রশিক্ষনের জন্যে সরকার এউদ্যোগ নিলেও অনেক উদ্যোক্তা কম্পিউটার বিভাগে তেমন দক্ষ না থাকায় শহর ছাড়া মাঠ পর্যায়ের পোষ্ট ই-সেন্টারে এ সেবা কার্যক্রম মূখ থুবড়ে পড়েছে। তবে জাতুয়া ই-সেন্টারে প্রশিক্ষনের জন্যে অনেক সরঞ্জামাদি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।