চান মিয়া-

 ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বৈশাকান্দির বাইরং নদীর ডাম্পিং এলাকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর ৩৮জন ব্যবসায়ির জব্দকৃত পাথর নিলামে বিক্রয়াদেশ হাইকোর্ট থেকে ৬মাসের জন্যে স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এআদেশ প্রদান করেন। এরসাথে জব্দকৃত পাথর রিলিজ দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়। ফলে জব্ধকৃত পাথর নিজ জিম্মায় নিয়ে আসতে আর কোন বাঁধা নেই বলে জানান ব্যবসায়িরা। ২৩জুন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমডি) উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ, সহকারি পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আলমগীর হোসেন, সহকারি পরিচালক (ভূ-পদার্থ) মাহফুজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের একটি টিম ছাতক উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ইসলামপুর ইউপির বাইরং নদীর তীরে বৈশাকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৮ জন ব্যবসায়ির প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করেন। খনি ও খনিজ সম্পদ বিধি মালা- ২০১২এর ২৩/২বিধিতে আটক করে তারা তাৎক্ষনিক নিলামে বিক্রির জন্য মাইকিং করে এলাকায় প্রচার করা হয়। এসময় কোন ক্রেতা না থাকায় পাথরের ডাম্পিং সাইডে লাল পতাকা টানিয়ে জব্দকৃত পাথর ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হেকিমের জিম্মায় রাখা হয়। এদিকে ১জুলাই পাথর জব্দের প্রতিবাদে পুরাতন কাষ্টমস রোডে ছাতক পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভায় জব্ধকৃত পাথর অবমুক্তকরনে ছাতক লাইম ষ্টোন ইম্পোটার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের প্রেসিডেন্ট, সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আহমদ সাখাওয়াত সেলিম চৌধুরীকে আহবায়ক করে ২১সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ৩জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় ঘেরাও, প্রতিবাদ সভাও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। অপরদিকে জব্ধকৃত পাথর অবমুক্ত করতে ছাতকের সানজিদা এন্টারপ্রাইজের স^ত্বাধিকারি বাবুল মিয়া হাইকোর্টে দায়ের করা একটি রীট পিটিশনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট এ আদেশ প্রদান করেন।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn