ছাতকের পল্লীতে পৃথক ৩টি সংঘর্ষে আহত শতাধিক
ছাতকে পৃথক ৩টি সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ২০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পৃথক-পৃথক স্থানে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গি গ্রামের মৃত ইছবর আলীর পুত্র ছুরাব আলী ও মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র ময়না মিয়া পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। গ্রামের একটি নৌকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ছুরাব আলী পক্ষের লাল মিয়ার একটি নৌকা চুরি হয়। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে শনিবার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের কপলা গ্রামে চুরি হওয়া নৌকাটি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কামরাঙ্গিরচর গ্রামের ময়না মিয়া পক্ষের ইমামুল হক লায়েককে নৌকার চোর হিসেবে সনাক্ত করা হয়। নৌকা বিক্রির সময় ক্রেতা লায়েকের ছবি তুলে রাখায় নৌকা চোর হিসেবে তাকে স্থানীয়রা সনাক্ত করেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরাজ করছিল তীব্র উত্তেজনা। এদিকে চুরির ঘটনা আড়াল করতে ইমামুল হক লায়েক নিখোঁজ হয়েছে বলে ময়না মিয়া পক্ষ রোববার জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি সাধারন ডায়রী করে। ওইদিন বিকেলে লায়েককে জাউয়া বাজারে পেয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোপর্দ করেন। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে দু’পক্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। গুরুতর আহত লিয়াকত আলী(৬০), জমশেদ আলী(৬৫), আব্দুর রউফ(৩৫), রফিক আলী(৪৫), আব্দুর রহিম(৩৫), ওহাব আলী(৫০), আছকির আলী(৪৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফজলু(৩০), হিরন(১৮), আব্দুল বারী(২৫), ফয়জুল ইসলাম(৩৫), মোহাম্মদ আলী(১৯), ছায়েদ(২২), সুমন(২৭), আব্দুস ছালাম(২০), আকবর আলী(৪০), তাজ উদ্দিন(২৬), ইব্রাহিম(২১), হোসেন(১৭), কয়েছ(২৫), হাফিজুর রহমা((১৬), মনোহর আলী(৫০), আলাউদ্দিন(১৯), নজিব আলী(৫০), ইউসুফ(২৭), আব্দুল ওহাব(৫৬), আব্দুল হান্নান(৬০), রাঙ্গা মিয়া(১৯), আফজল(১৭), কারা মিয়া(২৬), জাহাঙ্গির(২২), লিলু মিয়া(৩০), আব্দুস ছাত্তার(৬০)সহ অন্যান্য আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের জাহিদপুর নতুন বাজার ও জাহিদপুর পুরান বাজার এলাকায় পৃথক সংঘর্ষে ৪৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্থানীয়রা জানান, জাহিদপুর গ্রামের সাধু মিয়ার নাতি রুবেলকে গয়াছ মিয়ার ভাই দবির মিয়া তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে থাপ্পড় মারাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে জাহিদপুর নতুন বাজারে দু’পক্ষ লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত ৪৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহমত মইজ উদ্দিন সাধু(৬৫), আছাব আলী(৫৫), জহুর আলী(৪৫), কাওছার আহমদ(২৬), গৌছ আলী(৪০), মিন্টু মিয়া(২২), গয়াছ আহমদ(৪৫), দবির মিয়া(২৮), আকলুছ আলী(৪২), আনর আলী(৫৫), মোহাম্মদ আলী (২৭), আব্দুল জলিল(৭০), রহমত আলী(২৬), আব্দুল খালিক(৪৮), নিজাম উদ্দিন(৫৫), জলাল উদ্দিন(৩৫), আব্দুল বসির(৬৫), মনির উদ্দিন(২৬), মোহাম্মদ আলম(২৬), মিটু(১১), তোফায়েল(১৮) ও একই সময়ে জাহিদপুর পুরানবাজারে জাহিদপুরের ইব্রাহিম আালী ও নরসিংহপুরের আব্দুল মতিনের মধ্যে মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত ইব্রাহিম আলীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।