ছাতকে উপবৃত্তির টাকা তুলতে ভোগান্তি, বঞ্চিত দুই হাজার শিক্ষার্থী
ছাতকে শিওর ক্যাশ থেকে মেসেজ না আসায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী। উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের গাফিলতির কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন অভিবাবকরা। সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপকারভোগীর সংখ্যা হচ্ছে ২৬ হাজার ৯ জন। এসব বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৭৯৮ জন। উপবৃত্তির আওতায় ২৬ হাজার ৯ জন উপকারভোগী শিক্ষার্থীরা প্রথম কিস্তির টাকা পেলেও দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির সময় শিওর ক্যাশ থেকে প্রায় ২ হাজার উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইলে মেসেজ না আসায় টাকা পাওয়া থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে।উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ার ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দ্বদ্বের সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকদের ধারণা শিক্ষকদের কারসাজিতে উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে না তারা। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের চরম দায়িত্বহীনতায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তির পরিবর্তে দু’জন শিক্ষক দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে উপবৃত্তির সঠিক তালিকা প্রেরণ না করার ফলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপবৃত্তির তৃতীয় কিস্তির প্রায় ১০ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই অনিয়মের ঘটনায় ইতিমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প মনিটরিং কর্মকর্তা এম শাহজাহান আহমদ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বঞ্চিতদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির শিওর ক্যাশ মেসেজের গরমিলের কারণে কিছু উপকারভোগী উপবৃত্তির টাকা পায়নি। এ ব্যাপারে উপকারভোগীদের নতুন করে তালিকা করে টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।