ছাতকে উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত দু’হাজার শিক্ষার্থী
হেলাল আহমদ-
ছাতকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকার শিওর ক্যাশ থেকে ম্যাসেজ না আসায় উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় দু’হাজার উপকারভোগি শিক্ষার্থী। এনিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মহলে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। জানা যায়, উপজেলার ১শ’ ৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপকারভোগি মায়ের সংখ্যা হচ্ছে ২৬হাজার ৯জন। এসব বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ৪৭হাজার ৭শ’ ৯৮জন। উপবৃত্তির আওতায় ২৬হাজার ৯জন উপকারভোগি মা- ১ম কিস্তির টাকা পেলেও ২য়, ৩য় ও ৪র্থ কিস্তির সময় শিওর ক্যাশ থেকে প্রায় দু’হাজার উপবৃত্তির তালিকাভূক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইলে ম্যাসেজ না আসায় টাকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এনিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। অভিবাবকদের ধারণা শিক্ষকদের কারসাজিতে উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছেন না তারা। তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের চরম দায়িত্বহীনতায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অফিসের দায়িত্বশীল ব্যক্তির স্থলে বঙ্কিম আচার্য ও আশীষ কুমার দাস নামের দু’শিক্ষককে দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে উপবৃত্তির সঠিক তালিকা প্রেরণ না- করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ দু’শিক্ষক স্কুলে দায়িত্ব পালন না করে শিক্ষা অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে ৩কিস্তির প্রায় ১৫লাখ টাকার উপবৃত্তি থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন। এ অনিয়মের ঘটনায় ২০সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প মনিটরিং অফিসার এম শাহজাহান আহমদ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বঞ্চিতদের তালিকা প্রেরণের লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মানিকচন্দ্র দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ কিস্তির শিওর ক্যাশ ম্যাসেজের গড়মিলের কারণে কিছু উপকারভোগি উপবৃত্তির টাকা পায়নি। এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।