ছাতকে বোকা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন আতঙ্কে শতাধিক পরিবার
বিজয় রায়-
ছাতকের জাউয়ায় বোকা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে হুমকীর মুখে পড়েছে শতাধিক বসতবাড়ি। ইতিমধ্যেই কবরস্থান, মিল, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ ১০-১২টি বসতঘর ভিটেসহ বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে। দিন দিন ভাঙ্গনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় আতংকের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবার। ডজন খানেক পরিবার বর্তমানে নদীভাংগনে সর্বস্ব হারিয়ে এখন দিশেহারা। জাউয়া বাজার ইউনিয়নের রাউলি, কৈতক, রাজনপুর, খিদ্রাকাপন, কুমিল্ল¬া বস্তি, জাউয়া বাজার ও লক্ষমসোম এলাকার শতাধিক পরিবার এখন ভাঙ্গন আতঙ্কে ভুগছে। এ বছরের আগাম বন্যা, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, অতি বৃষ্টির ফলে নদী ভাঙ্গন ভয়বহতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী ভাংগনের আশংকায় এসব গ্রামে গত ক’দিন থেকে চলছে বসতঘর থেকে মালামাল সরানো ও দরজা জানালা খুলে ফেলার কাজ। ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরকারি কোন উদ্যোগ না থাকায় ভুক্তভোগিরা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় একাধিক লোকজন জানান, লক্ষমসোম গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী শামসুল ইসলামের পারিবারিক কবরস্হান, জাউয়া বাজার গরু বাজারের ৫-৬টি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, খিদ্রাকাপন মৌজায় ১০-১২টি বসত-বাড়ি, রাজনপুরে হাজী আস্তর মিয়ার স-মিল, রাইস মিল, বসত বাড়ি, কৈতক গ্রামের কয়েকটি বসত-বাড়ি, রাউলি গ্রামের বসত-বাড়ি, ফসলি জমি ও বাঁশঝাড় ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। দু,সপ্তাহ ধরে খিদ্রাকাপন মৌজার কুমিল¬া বস্তির বসত-বাড়িতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বস্তির বাসিন্দা রিকশা চালক আব্দুল কাদির, দিনমজুর শাহজাহান, হারুন মিয়া, আব্দুল জব্বার, মোর্শেদ, নজরুল, সমলা বিবি, জাহেদ আলী,বিলালসহ ২০-২৫টি পরিবারের বসত-বাড়ি ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বোকা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে নদী তীরবর্তী এলাকা ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে শীঘ্রই কুমিল্ল¬া বস্তির অস্তিত্ব বিলীন হওয়া আশংকা রয়েছে। এ ব্যাপারে কৈতক গ্রামের রবীন্দ্র চন্দ্র বলেন, তাদের বসতবাড়ি নদী ভাঙ্গনের হুমকীর মখে পড়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় এমপি বরাবরে আবেদন করা হলে তার পরামর্শ অনুযায়ী সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডসসহ সংশি¬ষ্ট দপ্তরে অনুলিপি দিয়ে ও আজ অবধি কোনো সহায়তা পাইনি বলে তারা জানিয়েছেন। বোকা নদীর ভাঙ্গন রোধে ভূমি অফিস, সওজ বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডেসহ সংশি¬ষ্টদের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তারা।