ছাতকে হাওরের ফসল রক্ষায় পানি নিষ্কাশনে চলছে ১২টি পাম্প!
ছাতক প্রতিনিধি: ছাতকে পাম্প দিয়ে হাওরের পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছে ফসলহারা কৃষকরা। গত ক’দিন ধরে উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের মন্ডলপুর এলাকার চাকলকুড়ি হাওরে ১২টি পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি নিস্কাশনের মাধ্যমে বোরো ফসল শেষ রক্ষার অভিনব চেষ্টা চলছে। এরপরও থামছে না ফসলহারা কৃষকদের আহাজারি। কিন্তু টানা বর্ষনের কারণে কৃষকদের সকল চেষ্টাই গুড়েবালিতে পরিনত হয়েছে। হাওরে ধানের পরিবর্তে এখন শুধুই পাহাড়ি ঢলের পানি থৈ-থৈ করছে। ফসলহারা কিষান-কিষানীদের তলিয়ে যাওয়া ফসলের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
কৃষকের অভিযোগ, হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মানের নামে চরম দূর্নীতির কারনে টানা দু’বছর ধরে বোরো ফসল গোলায় তুলতে পারেনি তারা। অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজদের নিয়ে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মান ও সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের নির্মিত্তে গঠিত পিআইাসি ছিল সম্পূর্ন অকার্যকর। কৃষকরা বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরও পানিউন্নয়ন বোর্ডসহ (পাউবো) সংশিশ¬ষ্টদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উপজেলার জল¬ার হাওর, ঝাওয়ার হাওর, দেখার হাওর, নাইন্দার হাওর, ডেকার হাওর, চাতলির হাওর, রাঙ্গা-ডিঙ্গা হাওর, চাউলীর হাওর, ফাটার হাওর, ইন্দুরার হাওর, সুরিগাঁও হাওর, ডিমকা, বাড়ুকা, গয়ার, রুকুর হাওরসহ উপজেলার ৬৪টি হাওর-বিলের বোরো ফসল এখন পানির নীচে। উপজেলা কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ি ১৪হাজার ২শ’২৫হেক্টর জমির মধ্যে ১০হাজার ৫শ’ হেক্টর জমির বোরো ইতিমধ্যেই পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উচুঁ জমির বাকী অংশটুকুও রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বর্ষা মৌসুমের শাক-সবজীর বাগান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম বদরুল হক জানান, বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় এখানের বোরো ফসলের বেশী ক্ষতি হয়েছে। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী শতকরা ৭৫ভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বাকীটুকুও রয়েছে হুমকীর মুখে।