ছাতক: চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের বিরুদ্ধে মামলা
ছাতকের উত্তর খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে ছাতক থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দন্ডবিধি ৩২৬সহ একাধিক ধারায় ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ ও ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান শান্তসহ ৩৬জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দয়ের করা হয়। উপজেলা সিংচাপইড় ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের হাজী আলকাছ আলীর পুত্র তাজিজুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিল্লাল আহমদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এর আগে আরো একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিল্লাল আহমদ কর্তৃক সিংচাপইড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেলের উপর দ্রুত বিচার আইনে একটি মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ইউনিয়নবাসী ২২ আগষ্ট কালীপুর পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ ও ইউপি সদস্য আজিুজর রহমান শান্তর নেতৃত্বে ইউনিয়নবাসীর মিছিলে সশস্ত্র হামলা করা হয়। হামলাকারীরা মিছিলে আসা লোকজনের উপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতারী গুলিবর্ষন করে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেলের চাচা লুৎফুর রহমানসহ ১৫-২০নিরীহ লোককে আহত করে। হামলায় আহত হয় আরো অর্ধশতাধিক ইউনিয়নবাসী। এ ব্যাপারে মামলার বাদী তাজিজুর রহমান জানান, এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের মদদে তার চোচাতো ভাই উত্তর খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারী বরাদ্ধ লুটপাটের টাকায় গড়ে তুলেছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। হামলা-মামলা করে গত ১০ বছর ধরে এলাকার মানুষকে হয়রানী ও নির্যাতন করে যাচ্ছে। সরকারী সম্পদ লুটপাটে প্রতিবাদী হয়ে উঠলে সিংচাপইড় ইইনয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেলের উপর ক্ষতাবলে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। চেয়ারম্যামেনের উপে থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ইউনিয়নবাসী মিছিল বের করলে সিলেটের ছাত্রদলের ভাড়াটে ক্যাডারসহ তার পোষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মিছিলে পরিকল্পিত হামলা করা হয়। হামলাকারী অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারের দাবী জানান মামলার বাদী তাজিজুর রহমান। ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ জানান, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না তিনি জানেন না। ছাতক থানার ওসি(তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম মামলার সত্যতা স্বীকার করেছেন।