ছাতক থেকে চান মিয়া’র পাঠানো নানা খবর
সড়কের বেহাল অবস্থা দেখার কেউ নেই
ছাতক-সিলেট রোডের মাধবপুরস্থ লালপুল ব্রিজের দক্ষিণ দিকের এপ্রোচে একটি অংশ ধেবে গিয়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৫এপ্রিল থেকে সৃষ্ট গর্তে রাতের বেলা যানবাহন চলাচলে মারাত্মক র্দূটনার আশংকা রয়েছে। এ সড়ক দিয়ে সিএনজি অটো রিকশা, অটো টেম্পু, বেবি টেকশি, ট্রাক, ট্রাক্টর, ট্যঙ্ক-লরি, সিমেন্ট ও পাথরবাহি ট্রাক, দূরপাল্লার বাস, মিনিবাস ও ভারী যানবাহনসহ প্রত্যহ কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিন্তু গভীর গর্তটি সামান্য অসাবধানতাই তাদের জন্যে মারাত্মক দূর্ঘটনা ডেকে আনতে পারে। এখন শুধু একটি গাছের ডাল দিয়েই গর্তের পরিচয় দেয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি যথাযথ নয় বলে দাবি করছেন চালকরা। এতে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তেুাষ বিরাজ করছে। এব্যাপারে ছাতক সড়ক ও জনপথ বিভাগে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রমজান আলী এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের শতাধিক শ্রমিক চাকুরিচ্যুত
ছাতকে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির আবেদন করায় লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের ঠিকাদার কর্তৃক নিয়োজিত শতাধিক শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। ফলে প্রায় দু’সপ্তাহ থেকে এসব শ্রমিক পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এব্যাপারে চাকুরি ফিরে পাবর দাবিতে উপজেলা নির্বার্হী অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। জানা যায়, ছাতকস্থ লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেডে শ্রমিক-কর্মচারি সরবরাহকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচআর এন্টারপ্রাইজ ও শাহজাহান ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের অধিনে শতাধিক শ্রমিক দীর্ঘ প্রায় একযুগ থেকে কাজ করে আসছে। সম্প্রতি এসব শ্রমিক দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির সাথে সঙ্গতি রেখে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি করায় গত ১মে’ থেকে কাজ বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন শতাধিক শ্রমিক। বিষয়টি জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের মেকানিক্যাল বিভাগের শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ছাদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক সুহেল আহমদ জানান, শ্রমিকদের ইন্সুরেন্স সুবিধা, শতভাগ বেতন বৃদ্ধি, শ্রম আইন অনুযায়ি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ, মেডিকেল ছুটিসহ বিভিন্ন সুবিধা দাবি করায় তাদের চাকুরিচ্যুত করা হয়। এব্যাপারে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের মিডিয়া বিষয়ক কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারদের সাথে লাফার্জের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে ঠিকাদাররা শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন।
পলাতক আসামি প্রেফতার
ছাতকে আবদুল হামিদ (২৫) নামের পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯মে’) রাতে দোলারবাজার ইউপির পালপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে দক্ষিণ খুরমা ইউপির মর্যাদ গ্রামের কাদির মিয়ার পুত্র। জানা যায়, ২০১৫সালের ১৪জুলাই একটি সরকারি সড়কের ব্যাপক ক্ষতি সাধনে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক ছাতক থানায় দায়েরি একটি মামলার তদন্তকালে সত্য ঘটনা খুলে বলে একই গ্রামের সেবুল মিয়া। এতে সাবেক মেম্বার জোনাব আলীর বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা (নং জিআর- ১০০/২০১৬ইং) রুজু করা হয়। এতে ক্ষেপে গিয়ে ইউনুছ আলীর পুত্র আশ্রব আলীর নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সেবুল মিয়াসহ তার লোকজনকে ব্যাপক মারধোর করে। এতে থানায় মামলা (নং ১৩, তাং ২০.০৪.২০১৭ইং) দায়ের করলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি (তদন্ত) আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গ্রেফতার করে বুধবার (১০মে’) তাকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময়
ছাতকে ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে মতবিমিয় অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯মে’) সন্ধ্যায় ব্যাংকের চলতি সেবা মাস (মে’ মাস) উপলক্ষে শরীয়াহ ভিত্তিক বিনিয়োগ, মর্গেজ নিয়ে বিনিয়োগের নিয়ম-নীতি, লেনদেন ও বিনিয়োাগ গ্রহণকালিন শরীয়তের আদেশ-নিষেধ, ব্যাংকিং ব্যবস্থা সহজতর, প্রশাসন ও গ্রাহকদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে সুসম্পর্ক স্থাপন, তাদের সূযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। এসময় ব্যবসা-বানিজ্যে ব্যবসায়িদের একমাত্র বিনিয়োগ বান্ধব হিসেবে পরিচিত ইসলামী ব্যাংকের তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্রাহক সেবা আরো বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। সভায় শরীয়াহ ভিত্তিক বিনিয়োগ ছাড়াও ব্যাংকের সেবা কার্যক্রমের উপর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শাখা প্রধান ও এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) মোহাম্মদ দুলাল হোসেন। সভার শুরুতে পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন, ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প অফিসার সাইদুল ইসলাম। সিনিয়র অফিসার (বিনিয়োগ প্রধান) তাজুল ইসলাম পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, ছাতক পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই আজাদ, ব্যবসায়ি মেরাজ উদ্দিন, হাজি সুজন মিয়া, আবদুল মতিন, বদরুল আলম, হাজি আলী আজগর সোহাগ, নাজমুল ইসলাম, ফারুক মিয়া, মনা মিয়া, ছাতক প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এএফএম ফারুক-চান মিয়া প্রমূখ। এসময় ব্যবসায়িরা চলতি বাজার মূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে পুরনো গ্রাহকদের প্রক্রিয়া মোতাবেক বিনিয়োগ বৃদ্ধিকরণ ও বিনিয়োগ সহজতরসহ বিনিয়োগকৃত অর্থের লভ্যাংশ সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসার দাবি করা হয়।
হতদরিদ্র ১৩পরিবারকে ভিটেবাড়ী থেকে উচ্ছেদের পায়তারা
ছাতকে সন্ত্রাসী কায়দায় ১৩টি হতদরিদ্র পরিবারের বসত-বাড়ি জবরদখল ও তাদেরকে ভিটে উচ্ছেদ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহল। এসময় তাদেরকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে একসপ্তাহের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। ফলে ৮মে’ নিজেদের নিরাপত্তা ও ভিটে-বাড়ি রক্ষায় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করা হয়। মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত নাজির ্াহমদের পুত্র বাবুল মিয়ার দেয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার ইসলামপুর ইউপির মোল্লাপাড়া ও ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর স্ত্রী হোসনারা বেগম, মৃত আবদুল ওয়াদুদের মেয়ে জাহেরা বেগম, শুকুর আলীর স্ত্রী কমরুন নেছা, কলমধর আলীর স্ত্রী ছায়ারুন নেছা, মৃত রইছ আলীর পুত্র আফতাব আলী, কলমধর আলীর পুত্র আবদুল বারিক, মৃত তমিজ উদ্দিনের পুত্র হরমুজ আলী, আজিজুর রহমানের পুত্র তাজুল ইসলাম, মৃত নাজির আহমদের পুত্র আবদুর রহিম, মৃত দুদু মিয়ার পুত্র দিলোয়ার হোসেন, বাবুল মিয়ার স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম, মৃত ইছত উল্লাহর স্ত্রী মালা বেগম ও মৃত আলা উদ্দিনের মেয়ে আজমান বেগমসহ ১৩টি পরিবার ৫০বছরের অধিককাল থেকে ছাতকের ৭১জেএলস্থিত ফকিরটিলা মৌজার ১/১নং খতিয়ানের (এসএ) ১২০নং দাগের সাড়ে ৪একর খাস খতিয়ানের ভূমিতে বসতবাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছে। কিন্তু ৬মে’ স্থানীয় কুচবাড়ি গ্রামের মৃত মছকন্দর আলী পুত্র ছুরত আলী, মৃত আবদুল কুদ্দুছের পুত্র সামছুল হক, মৃত আশরাফ আলীর পুত্র আবদুস সামাদ, মৃত আবদুল আহাদের পুত্র মাসুক মিয়া, মৃত আবদুর রহিমের পুত্র নূর হোসেন ও কুমারদানী গ্রামের কুটি মিয়ার পত্র রোপন মিয়াসহ অনেকে বংশানুক্রমে তাদের ভোগদখলিয় ভূমি থেকে উচ্ছেদের জন্যে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেয়। এরপর থেকে তারা অব্যাহত হুমকি ও প্রাননাশের ভয়ভীতিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। তাদের দখলিয় খাস ভূমি লিজ দিতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং প্রশাসনিক সহায়তার জন্যে সিলেট ডিআইজি ও সুনামগঞ্জ পুলিশ সূপার বরাবরে লিখিত আবেদন করা হয়। এব্যাপারে তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।