ছাতক সংবাদদাতা:: ছাতকে কওমী ও ফুলতলীপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শহরে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এদিকে, মঙ্গলবার বিকালে নিহত বাবুলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত রুবেল মিয়ার ভাই আহমদ আলী জানান, রুবেল হত্যা কান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এদিকে, আব্দুল বাছিত বাবুল হত্যাকান্ডে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ আশেক সুজা মামুন জানান, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে তা মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হবে।
এদিকে, ছাতকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত আব্দুল বাছিত বাবুলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ছাতক বহুমুখী মডেল হাইস্কুল মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযায় ইমামতি করেন মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী। জানাযা শেষে পঞ্চায়েতি কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। জানাযায় সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক আবরু মিয়া তালুকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শামীম আহমদ চৌধুরী, আ’লীগের আহবায়ক ছানাউর রহমান ছানা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনোয়ার রহমান তোতা মিয়া, আ.লীগ নেতা সৈয়দ আহমদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান চৌধুরী খোকন, কাউন্সিলর আখলাকুল আম্বিয়া সোহাগ, জসিম উদ্দিন সুমেন, প্রধান শিক্ষক মইনুল হোসেন চৌধুরী, অধ্যক্ষ মাও. আব্দুল আহাদ, মাও. আলী আজগর খান, আব্দুল গাফফার. সহ এলাকার লোকজন, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রোববার ছাতকের জাউয়াবাজারে ফুলতলী সমর্থকদের একটি ব্যানার নামানো ও ছাতকে কওমী সমর্থকদের ওয়াজ মাহফিলে বাঁধা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার ছাতকে দুপুর থেকে কওমী ও সূন্নী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত হন।। চার ঘন্টাব্যাপী দফায়-দফায় সংঘর্ষে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ, পথচারী, শিক্ষার্থীসহ দু’পক্ষের দেড় শতাধিক লোক আহত হয়। ট্রাক-সিএনজিসহ ৭-৮টি গাড়ি ভাংচুর, দোকান-পাট ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১০৭ বার