জগন্নাথপুরের টুকরো খবর
প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রলীগ সভাপতি আহত
ছাত্রলীগ সভাপতি আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ
জগন্নাথপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও পাঠকুড়া বাজারের ব্যবসায়ী স্থানীয় পাঠকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আকরাম হোসেন ও বুরাইয়া গ্রামের খালেদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে গত বুধবার বুরাইয়া গ্রামের রাস্তায় প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রলীগ সভাপতি আহত হন। আহতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আহত ছাত্রলীগ সভাপতির বড় ভাই আব্দাল মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ইছহাক উল্লাহ, খালেদ মিয়া, খালিছ মিয়া, বাবুল মিয়া, ফঠিক মিয়া, আনা মিয়া, রুপ মিয়া, সামসুল ইসলাম, আব্দুল হক, রাজা মিয়া, ছুফি মিয়াসহ ১১ জনকে আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর থানার এসআই কবির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রোলার চাপায় শ্রমিক নিহত
জগন্নাথপুরে সড়কে মেরামত কাজের রোলারের চাপায় পিষ্ট হয়ে রইছ উদ্দিন (২০) নামের এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার গণিগঞ্জ গ্রামের মৃত আপ্তর আলীর ছেলে।জানাগেছে, জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে মেরামত কাজ চলছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সড়কের বটেলতল নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। রোলারের চালক রেজাউল ইসলামের পরিবর্তে তার হেলপার অলিউর রহমান রোলার চালান। এ সময় চালক অলিউর রহমান মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রোলার চালিয়ে সড়কে গালার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক রইছ উদ্দিনকে রোলারের নিচে ফেলে পিষ্ট করে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই হতভাগ্য শ্রমিক রইছ উদ্দিনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। যদিও জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে সড়কে কাজ পাওয়া ঠিকাদার নুরুল আমিন জানান, এ ঘটনায় আমিও মর্মাহত। এমন হওয়ার কথা ছিল না।
রোলার চাপায় নিহত শ্রমিকের ঘটনাটি মামালা ও ময়না তদন্ত ছাড়াই রফা!
ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ- জগন্নাথপুরে রোলারের চাপায় পিষ্ট হয়ে নিহত হওয়া শ্রমিকের ঘটনাটি কোন প্রকার মামলা ও ময়না তদন্ত ছাড়াই দফারফা হয়ে গেছে। এ নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। জানাগেছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে মেরামত কাজ চলাকালীন সময়ে সড়কের বটেলতল নামক স্থানে চালকের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটে। তখন রোলারের চালক রেজাউল ইসলামের পরিবর্তে তার হেলপার অলিউর রহমান মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রোলার চালিয়ে সড়কে গালার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার গণিগঞ্জ গ্রামের মৃত আপ্তর আলীর ছেলে রইছ উদ্দিনকে (২০) রোলারের নিচে ফেলে পিষ্ট করে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই হতভাগ্য শ্রমিক রইছ উদ্দিনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই সাইফুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। লাশটিকে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের কথা থাকলেও প্রেরণ করা হয়নি। অবশেষে রাত ১২ টার দিকে জগন্নাথপুর থানা ভবনে হতভাগ্য নিহত শ্রমিক রইছ উদ্দিনের দরিদ্র পরিবারের লোকজনকে নিয়ে সড়কে কাজ পাওয়া ঠিকাদার নুরুল আমিন, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রফিকুল ইসলাম ও জগন্নাথপুর থানার এসআই সাইফুল আলমসহ উভয় পক্ষের লোকজন দীর্ঘক্ষন বৈঠক করেন। এক পর্যায়ে সমঝোতায় কোন প্রকার মামলা ও ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশটি নিহত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে কত টাকায় এ নির্মম হত্যাকা-টি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তি হওয়ায় মামলা হয়নি এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশটি নিহত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।