জগন্নাথপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ
বার্তা ডেক্সঃঃ জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মনু নদীর বালু উত্তোলনের কাগজ দিয়ে কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গতকাল সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দারা এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসী ও লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১০/১২ দিন ধরে মৌলভীবাজার নিবাসী আশরাফ আলী অন্য মনু নদীর লিজকৃত মহালের কাগজপত্র উপজেলা প্রশাসনে জমা দিয়ে স্থানীয় আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে মজুদ করে বিক্রি করছেন। কুশিয়ারা নদী থেকে হাউড্রোলিক ড্রেজার ও বাল্কহেড নৌকা দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে নদীভাঙনের কবলে পড়ে বসতবাড়ি হারাচ্ছেন অনেকে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা থেকে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীতে কোনো প্রকার বালু মহাল নেই। অথচ মৌলভীবাজার নিবাসী আশরাফ আলী অন্য একটি মহালের কাগজ অফিসে জমা দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন এ বিষয়ে মনুনদী-১৬ (চানপুর) মহালের মালিক হায়দায় আলী জগন্নাথপুর থানায় গত ২২ সেপ্টেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। থানা থেকে উভয়পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার কথা বললেও আশরাফ আলী কাগজপত্র দিয়ে হাজির হননি।
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ছানু মিয়া বলেন, ‘কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আশরাফ আলী মনু নদীর বালু উত্তোলনের কাগজ জমা দিয়ে অবৈধভাবে কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছি।’ এ ব্যাপারে জানতে আশরাফ আলীর মুঠোফোনে বারবার ফোন দেওয়া হলে তিনি মুঠোফোন বন্ধ করে দেন। তবে আশরাফ আলীর স্থানীয় প্রতিনিধি রানীগঞ্জের বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কুশিয়ারা নদী থেকে কোনো বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না। জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।