জগন্নাথপুর: বিয়ের কথা বলে প্রতারণা, মামলা করলেন মিনারা
সুনামগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মিনারা বেগম। গত ১৬ জুলাই রোববার তিন জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলা পিটিশন নং, নারী শিশু মোং- ১৯২/২০১৭। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রণয় কুমার দাস মিনারা বেগমের এ মামলা আমলে নেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে প্রেরণ করেন। ভুক্তভোগী মিনারা বেগম জগন্নাথপুর উপজেলার সুলেমানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মানিকের স্ত্রী। মামলার আসামীরা হলেন, চানপুর গ্রামের মৃত ইছবর চৌধুরীর পুত্র আব্দুল মতিন চৌধুরী, আব্দুল মতিন চৌধুরী কদ্দুছের পুত্র কাওছার চৌধুরী ও লিটন চৌধুরী।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিগত ৪/৫ মাস পূর্বে মিনারা বেগমের কাছে এসে তার ছেলে সিজু মিয়াকে বাড়িতে কাজের জন্য নিয়ে যেতে চান মামলার প্রধান আসামী আব্দুল মতিন চৌধুরী। কিন্তু মিনারা বেগম তার ছেলেকে একা কারও বাড়িতে কাজে দিবেননা বললে মা ও ছেলেকে কাজের জন্য নিয়ে যান আব্দুল মতিন চৌধুরী। বাড়িতে কাজ করার কয়েকদিন পর আব্দুল মতিন চৌধুরী এসে মিনারা বেগমকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে মিনারা রাজী না হলে তিনি রাগান্বিত হয়ে চলে যান। এরপর গত ১৫ মার্চ রাত ৯টায় মিনারা বেগমের ঘরে যান আব্দুল মতিন চৌধুরী। গিয়ে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করতে চান। এতে মিনারা বেগম রাজি না হলে তাকে বিয়ের প্রস্তুাব দেন। এতেও তিনি রাজী না হলে জোরপূর্বক ঝাপটে ধরে তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় মিনারা বেগম সুর চিৎকার করলে তাকে বিবাহ করিবেন বলে আশ্বস্থ প্রদান করেন। এরপর থেকে অনেকবার মিনারা বেগমের সাথে আব্দুল মতিনের শারিরীক সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে গত ১ মে রাত ৯টায় মিনারা বেগমের ঘরে আসেন আব্দুল মতিন চৌধুরী। এসে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করতে চাইলে মিনারা বেগম তাকে বিয়ের কথা বলেন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল মতিন তার বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। তাঁর এমন কথা শুনে মিনারা বেগম কান্নাকাটি শুরু করলে মামলার আসামী কাওছার চৌধুরী ও লিটন চৌধুরী আসেন। এসে সব ঘটনা শুনার পর তারাও আব্দুল মতিনের পক্ষপাতিত্ব দেন এবং মিনারা বেগম ও তার ছেলেকে ঘরে আটকিয়ে রাখেন। পরদিন মিনারা বেগম সুকৌশলে ২ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসেন এবং পল্লী চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা নেন। গ্রামে আপোষ মিমাংশার মাধ্যমে সমাধান করে ব্যর্থ হওয়ায় নিরূপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নেন মিনারা বেগম।