জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবতির্ত, বেড়েছে জনদূর্ভোগ
ভারি বর্ষণ গত ২৪ ঘন্টায় কম হলেও পাহাড়ী ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও হাওর এলাকার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। বেসরকারী হিসেবে জেলায় প্রায় সাত লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধি অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন কাটাচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতির স্বাভাবিক না হওয়ায় জেলার ৯ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ২৮৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তবে এখনো পর্যন্ত বন্যার্ত্যদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি বলে জানিয়েছে বানবাসিরা। জেলা প্রশাসন দাবী করছে প্রত্যেক উপজেলায় উপজেলায় শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বন্যার্ত্যদের মাঝে দেয়া হয়েছে। যা খুবই অপ্রতুল বলে বাসবাসিদের দাবী। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে ২৬ সে.মি. কমে বিপদসীমার ৬৯ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় জেলার ৭টি উপজেলার হাওর এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে আজও। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, রোপা আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে প্রায় ১হাজার হেক্টর। এছাড়াও প্রায় ৬হাজার হেক্টর রুপা আমনের ফসল তলিয়ে বিনষ্ট হয়েছে। বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর আমন ফসলের এমন ক্ষয়ক্ষতির ফলে যার বিরোপ প্রতিকৃয়া পরবে আমাদের খাদ্য উৎপাদনে। অন্য দিকে টানা বৃষ্টিতে সবজি আবাদ পরেছে হুমকির মুখে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম জানান, বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছ্।ে প্রত্যেক উপজেলায় উপজেলায় শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বন্যার্ত্যদের মাঝে দেয়া হয়েছে।