জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের গুঞ্জন
কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন কমিটির মেয়াদ তিন মাস বেধে দ েন।জ েলা কমিটির দায়িত্বশীলদের তিন মাসের মধ্যে সব উপজেলা, পৌর, কলেজ ইউনিটের সম্মেলন অথবা জীবনবৃত্তান্ত সং গ্রহ করে কমিটি অনুমোদনের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। কিন্তু চার মাসেও একটি ইউনিটের কমিটি দিতে পারেনি জেলা ছাত্রলীগ।গত মাসে কয়েকটি ইউনিটের জন্য আগ্রহী নেতাদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হলেও পরে কাজ এগুতে পারেননি জেলা নেতৃবৃন্দ।সোমবার কেন্দ্র থেকে ২০ এপ্রিল সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে দাবি। শহরের উকিলপাড়ার শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে সম্মেলনের ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলনের জন্য পোস্টারও তৈরি করা হয়েছে। তবে এই পোস্টার কারা তৈরি করেছেন তা জানেন না জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার থেকে এই পোস্টার শহরে লাগানো হতে পারে। এদিকে তড়িঘড়ির এই সম্মেলন জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির অধিকাংশ সদস্যই জানেন না বলে জানা গেছে।
পোস্টারে দেখা গেছে, সম্মেলনে প্রধান অতিথি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে। সম্মেলনের উদ্বোধক কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন।সম্মেলনে অতিথি রাখা হয়নি জেলার কোনো সংসদ সদস্যদের বা সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়রকে এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতৃবৃন্দদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফ উল আলম সভাপতিত্ব করবেন বলে পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ উল আলম বলেন, সম্মেলনের বিষয়টি আমার জানা নেই।
সম্মেলন আয়োজনের জন্য ১০-১৫ দিন সময় দরকার। কিন্তু দুই-তিন দিনে তো আর সম্মেলন আয়োজন করা সম্ভব না। এবিষয়ে কেন্দ্র থেকে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হক কিরণ জানান, আ.লীগ নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে সম্মেলনের বিষয়টি জেনেছি। কেন্দ্র থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তবে সম্মেলনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, নতুন কমিটি হলে বর্তমান কমিটির শীর্ষ পদের দু’একজন বয়সসহ নানা কারণে বাদ পড়তে পারেন। তবে অধিকাংশ নেতাই কমিটিতে স্থান পাবেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য অনেক নেতার নামই শোনা যাচ্ছে।
সভাপতি পদে নাজমুল হক কিরণ, আশিকুর রহমান রিপন, দিপঙ্কর কান্তি দে, দেওয়ান এনায়েত রেজা জিসান, অভিজিৎ চৌধুরী, আশরাফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সোহেল রানা, মাসকাওয়াত জামান ইন্তি, ফয়সল আহমদ, ইশতিয়াক আলম পিয়ালের নাম আলোচনায় রয়েছে। ছাত্রলীগ নেতারা জানান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন নিজেদের অনুসারীদের জেলা কমিটির শীর্ষপদে আনতে তৎপর রয়েছেন। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমানও ছাত্রলীগের কমিটির ব্যাপারে এক ইঞ্চি ছাড় দিতে নারাজ। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ তার অনুসারীদের জন্য বাগিয়ে নিতে তিনি চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম তার অনুসারীদের কমিটিতে ভালো পদে রাখার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন বলেন, ২০ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আমি নিজে উপস্থিত থাকবো। সম্মেলনের পর কমিটি হবে।