ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের জঙ্গি আস্তানায় বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন সাউথ প’ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩টায় এ অভিযান শেষ হয়। অভিযানে কোনো জঙ্গির সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। পরে রাত ১১টার দিকে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকেফের আবার অভিযান শুরু করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, পুলিশ, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৪০০ সদস্য। খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ শনিবার বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে জানান, অভিযানে ২০টি রাসায়নিক কন্টেইনার, ৩টি সুইসাইডাল ভেস্ট, ৮-১০ মাইন সদৃশ্য বস্তু, প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রিক সার্কিট, ১০০ প্যাকেট লোহার বল, ১৫টি জিহাদী বই, ১টি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি, পেসার কুকার বোম ১টি ও  ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বড় ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা করছিল জঙ্গিরা। ঝিনাইদহের এই আস্তানাটি কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখানে বিভিন্ন বিস্ফোরক তৈরি করতো জঙ্গিরা। এই কারখানায় ৩/৪ জন জঙ্গি আসা যাওয়া করতো বলে গোয়েন্দা সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে বিভাগীয় পর্যায়ের জঙ্গিরা অবস্থান করতো। খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, মানুষকে বেহেশতে যাবার কথা বলে কেউ এমন কর্মকাণ্ড করলে পার পাবে না। জঙ্গিদের স্থান বাংলাদেশে হবে না। এর আ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সন্দেহজনক ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাড়িটিতে নব্য জেএমবির বোমা তৈরির কারখানা বলে মনে করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এরপর অভিযানকে ঘিরে ওই বাড়ির ৫০০ গজ এলাকার মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে গ্রামবাসীদের ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়।  নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হয় সংবাদকর্মীদেরও।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn