টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে ‘মাদক কারবারি ও শিশু অপহরণকারী চক্রের’ ৩জন সদস্য পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। তারা তিনজনই রোহিঙ্গা বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের কাছে পুলিশ অভিযানে গেলে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলিবর্ষণ করে। এতে পুলিশের কনস্টেবল সেকান্দর, এরশাদুল ও সৈকত বড়ুয়া আহত হন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে কিছুক্ষণ পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে লেদা রোহিঙ্গা বস্তির গুলিবিদ্ধ ও মুমূর্ষু অবস্থায় উখিয়া উপজেলার থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মোক্তার আহমদের পুত্র নুর আলম (২১), সি-১ ব্লকের নুর মোহাম্মদের পুত্র শামসুল আলম (৩৫) এবং লেদা রোহিঙ্গা বস্তির আজিজুর রহমানের পুত্র হাবিবকে (২০) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া আহত পুলিশের ৩জন কনস্টেবল সেকান্দর, এরশাদুল ও সৈকত বড়ুয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এলজি, ৮টি গুলি ও ১১টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, উপরোক্ত অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, এই ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে, নিহতরা গত ১জুন লেদা সি-ব্লকের ২২৩নং রুমের বাসিন্দা আবু ছিদ্দিকের পুত্র রমজান আলীকে (৩) অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃতের পরিবার দাবি করা টাকা দিতে না পারায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তাদের থাইংখালী থেকে আটক করে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা মাদক কারবারি ও সংঘবদ্ধ শিশু অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।