ট্রাম্পের চিমটির জবাবে এরদোয়ানের খামচি!
বাংলা ভাষার জনপ্রিয় প্রবাদ চিমটি দিলে খামচি খেতে হয়, এর ইংরেজি ‘টিট ফর ট্যাট’ প্রবাদটি দিয়েই শিরোনাম করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। যে খবরের প্রসঙ্গে এই শিরোনাম- সেটা হলো যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের পারস্পরিক ভিসা বাতিল করার ঘটনা। গত সপ্তাহে তুরস্কে মার্কিন মিশনের এক কর্মকর্তাকে আটকের অভিযোগে তুর্কি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র। এর কিছুক্ষণ পরই তুরস্ক থেকেও আসে একই ঘোষণা। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক তাদের নিজ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে দুই দেশকে আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে বলেছে।
গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে তুরস্ক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত বছর ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসিত তুর্কি ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সাথে যোগাযোগ ছিল বলে মার্কিন সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। গত বছরের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের সাথে ফেতুল্লাহ গুলেন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করে আসছে এরদোয়ান সরকার। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনিত এই অভিযোগের নিন্দা জানিয়েছে। তারা জানায়, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এই পদক্ষেপে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে।
তুর্কি সরকারের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতার দায়ে যে মার্কিন কনস্যুলেট কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম প্রকাশ করেছে তুর্কি সংবাদসংস্থা আনাদলু এজেন্সি। মেতিন তপুজ নামে সেই তুর্কি পুরুষ মার্কিন কনস্যুলেটে চাকুরি করতেন বলে জানায় সংবাদ মাধ্যমটি।আঙ্কারায় মার্কিন মিশন থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র তুর্কি সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। আর এই সময়ে আমরা তুরস্কে সব দূতাবাসেই ভিসা সুবিধা দেওয়া স্থগিত রেখেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে তুর্কি দূতাবাসও একই পথে হেঁটেছে। একই রকম বিবৃতি দিয়ে ভিসা সুবিধা বাতিল করেছে তারাও। ন্যাটোর দুই ঘনিষ্ঠ মিত্রের মধ্যে সাম্প্রতিক এই উত্তেজনা কোথায় গিয়ে ঠেকে সেটাই দেখার বিষয়।