তারেক, জোবায়দাকে নিয়ে শপিং করতে খালেদা
গত ১৫ জুলাই বিএনপি নেত্রী লন্ডন সফরে যান। এই সফরের উদ্দেশ্য হিসেবে দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কথা জানানো হয়েছে। তবে তিনি কোথায় এবং কবে চিকিৎসা নেবেন তা জানাননি নেতারা। খালেদা জিয়া কবেই বা ফিরবেন, সেটিও অজানা এখনও। বিএনপি নেতারা জানান, লন্ডন যাওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ সময় তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে তারেক রহমান লন্ডন অবস্থান করছেন্। দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারের পর প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তখন তিনি দেশটিতে যান। প্যারোল এবং জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি দেশে ফেরেননি। এর মধ্যে বিদেশে অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খালেদা জিয়াও একাধিক দুর্নীতির মামলার আসামি। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি শেষ পর্যায়ে। এই দুই মামলা দ্রুত রায়ের পর্যায়ে চলে আসছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এই পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে নানা কথা বলছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাদের দাবি, দুর্নীতি মামলা রায়ের পর্যায়ে চলে আসার প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। তবে এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, চিকিৎসার জন্য যাওয়া একজন মানুষকে নিয়ে এমন বক্তব্য অমানবিক।