তাহিরপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক মহিলা ও এক শিশুসহ আহত হয়েছেন ২০ জন। বুধবার বেলা ১১টায় তাহিরপুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা ও ২০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। গুলিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোকনের স্ত্রী বাবলী বেগম (৩৫), একই গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩০) ও বাজার ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের শিশু পুত্র রাহাত (৫) আহত হন। সেই সাথে পুলিশের লাঠিপেটায় বাজার ব্যবসায়ী (অব.) সেনা করপোরাল মহসিন মিয়া ও বাজরে উপস্থিত ভাটি তাহিরপুর গ্রামের শ্যামল মিয়া, জুয়েল মিয়া, কবিরুল, শাহিন রেজা, লালন, সাজন মিয়া ও ওয়াহিদ নুর আহত হন। আহতদের সবাই তাহিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক নিয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তাহিরপুর বাজারের চাউল ব্যবসায়ী রতনশ্রী গ্রামের এনামুল হক ভাটি তাহিরপুর গ্রামের কৃষক ছুরত মিয়ার কাছে পাওনা পাঁচ হাজার টাকার তাগাদা দিলে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে ব্যবসায়ী এনামুল হক সুরত মিয়াকে তার বাজারের ঘরে নিয়ে পাওনা টাকার জন্য নাজেহাল ও শারীরিকভাবে হেনস্থা করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে সুরত মিয়ার ভাই মুজিবনুর মিয়া বাজারে এলে এনামুল ও তার ভাইয়েরা মিলে মুজিব নুরের ওপর আক্রমণ করে। এতে মুজিব নুর (৪০), আব্দুল আউয়াল (৫৫), তুহিন মিয়া (৪০) মারাত্মকভাবে আহত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সংবাদ শুনে থানা পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। পরে এ নিয়ে গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় । এক পর্যায়ে পুলিশ বাজার ছেড়ে ভাটি তাহিরপুর গ্রামের ভেতর ঢুকে কমপক্ষে ২০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। বর্তমানে এ নিয়ে তাহিরপুর বাজারে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর বলেন, পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে।