তাহিরপুরে ভুল চিকিৎসায় নাম লাকী বেগম (২৫) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মোহামিন মিয়ার স্ত্রী। এঘটনায় ডাঃ মনির হোসেন নামে এক চিকিৎসক কে আটক করেছে পুলিশ। তার ডি,এম,এফ,রেজি নং-৮৫০০। তিনি তাহিরপুর বাজারে সোনিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টর এন্ড ডক্টর চেম্বারে র্দীঘ দিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে,র্দীঘ দিন ধরে সোনিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টর এন্ড ডক্টর চেম্বারর্সে নাম মাত্র ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। যে কারনে ভুল চিকিৎসায় শুক্রবার লাকী বেগমের মৃত্যু ঘটে।

তাহিরপুর থানা পুলিশ ও নিহতের আত্মীয় স্বজনের সুত্রে জানা যায়,নিহত লাকী বেগম শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ করে পেঠে তীব্র ব্যাথা অনুভব করলে চিকিৎসার জন্য তার স্বামী মোহামিন মিয়া সোনিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টর এন্ড ডক্টর চেম্বারে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক মনির হোসেন তাকে দ্রুত ব্যাথা নাশক ইনজেকশন দেন। ইনজেকশন পুশ করার পর রোগীর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে তাকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পরার্মশ দেয়। যাওয়ার পথেই লাকী বেগম মারা যায়। তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মির্জা রিয়াদ হাসান তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর তাহিরপুর তাহিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

এ ঘটনায় ডাঃ মনির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় এবং লাকী বেগমের মরদেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এবিষয়ে সোনিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টর এন্ড ডক্টর চেম্বারর্স এর পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান মনির বলেন,আমাদের প্রতিষ্ঠানের ডাক্তার মনির হোসনে শুধুমাত্র ব্যাথানাশক ইনজেকশন দিয়েছিল। এর বেশী আমার জানা নেই।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn