তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ১১ রোহিঙ্গাকে জন্ম সনদ ও নাগরিকত্ব সনদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিকত্ব সনদ দেয়ায় তাহিরপুর উপজেলা জুড়ে এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই তপন চন্দ্র দাস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের গুটিলা গ্রামে একটি রোহিঙ্গা পরিবার বসবাস করছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। গুটিলা গ্রাম  থেকে রোহিঙ্গা একই পরিবাররের ১১ সদস্যকে সন্ধার পর পর বাদাঘাট পুলিশ পাড়িতে নিয়ে আসেন। এসময় রোহিঙ্গা পরিবারটির কাছে থেকে বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ও সচিব ভুপতি ভুষন সরকার স্বাক্ষরিত ৯টি জন্ম নিবন্ধন ও ৮টি নাগরিকত্ব সনদপত্র ও দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্রের অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদীত রশিদ উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা হলেন, আব্দুছ ছবুর (৫৪), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৪২), তাদের সন্তান আব্দুল হালিম (২৩), মেয়ে হালিমা (১৮), ছালেহা (১৫), হারিছা (১৩), ফারিছা (১১), আছলম (৭), ওমামা বেগম (২), পুত্রবধু ওম্মুল খায়ির (২২), নাতনী মোশাররফা (শিশু)।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশ্যে রোহিঙ্গা পরিবারটিকে থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। এ ব্যাপারে বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য জন্ম নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর করায় তাই আমি তাদের সনদ দিয়েছি।তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে রোহিঙ্গা পরিবারটিকে বাংলাদেশ সরকার কতৃক কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় কেন্দ্রে শুক্রবার সকালে পাঠানো হবে।সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান একই পরিবারের ১১ রোহীঙ্গাকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, শুক্রবার সকালে তাদেরকে পুলিশী নিরাপত্তার মাধ্যমে কক্সবাজারে পাঠানো হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn