তাহিরপুর : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গাছে বেঁধে প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক কামাল হোসেন রাফির নির্যাতনের ঘটনার মূল আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে নির্যাতিত সাংবাদিকের নিজ গ্রাম কামড়াবন্ধ সহ এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন পালন করেছে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাদাঘাট সচেতন নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে কামড়াবন্ধ গ্রাম থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাদাঘাট বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক মানববন্ধনে মিলিত হন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাদাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুবলীগ সভাপতি সেলিম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমেদ মানিক, উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক জুলহাস মল্লিক, জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির পাঠান, ওলামালীগ বাদাঘাট ইউনিয়ন শাখার সভাপতি বাচ্চু মোল্লা, বাদাঘাট ইউনাইটেড ক্লাবের সভাপতি মাহবুব মল্লিক, সহ-সভাপতি শামীম আহমেদ, শাহ্ জাহান মিয়া, তরিকুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সেলিম হায়দার, মহিবুর রহমান চৌধুরী, আ. রকিব আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্রদল নেতা আবুল কাসেম, আল-আমীন প্রমূখ।
বক্তারা সাংবাদিক কামাল হোসেন রাফির মূল আসামীরা ৭২ ঘন্টার পরও গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত মুল আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশকে আল্টিমেটাম দেন তারা। অন্যথায় সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবেন বলে জানান তারা।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে ঘাগটিয়া গ্রামের রইস মিয়া,দ্বীন ইসলাম মাহমুদুলের নেতৃত্বে বালু খেকো চক্রটি তার উপর অতর্কিত হামলা করে মারাত্মক আহত করে নদীর পাড় থেকে টেনে হিছড়ে ঘাগটিয়া বাজারে এনে গাছের সঙ্গে রশ্মি দিয়ে বেধে মধ্যযোগীয় কায়দায় নির্যাতন করে এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পরে তার সহকর্মীদের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। বিকালে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে জেলা, উপজেলা এবং ঢাকার সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে নিন্দার ঝড় বইছে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬৭ বার