তিন বছরেও শুরু হয়নি অন্তত বিজয় হত্যার বিচার
বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। তবে তিন বছরেও চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরুই হয়নি। এখন পর্যন্ত অভিযোগ গঠনই করা হয়নি। আগামী সোমবার অনন্ত হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারে নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত। বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি তিনি যুক্তি নামে বিজ্ঞান বিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের একদিন পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।মামলাটি প্রথমে তদন্ত করলেও পরে তা অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৯ মে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক ইদ্রিসসহ ১০ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।অভিযুক্ত ছয়জন হলেন, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫), কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এবি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪), কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫) ও সিলেট নগরীর রিকাবী বাজার এলাকার সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০)। অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে আবুল, ফয়সাল ও হারুন পলাতক রয়েছেন।
গত বছরের ২০ জুন আদালত পলাতক তিনজনের সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দেন। পরে ১৬ জুলাই অভিযোগ গঠনের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। এরই মধ্যে আসামী পক্ষের আইনজীবী সাফিউর রহমান ফারাবীর জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পরে অভিযোগ গঠনে নতুন তারিখ ধার্য হয় আগামী সোমবার।সিলেটের সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান, অভিযোগ গঠন করা হলে মামলাটির আদালত স্থানান্তর হতে পারে।আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সোমবার অভিযোগ গঠন হলে মামলার বিচারপক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। এদিকে অনন্তের ভগ্নীপতি সমর বিজয় সি শেখর বলেন, আমরা ছাইছি প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের পরে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হক। যাতে এমন করে পৃথিবীর বুক থেকে আর কোন অনন্তকে এভাবে চল যেতে না হয়।