দলকানা আমলা খেয়েদেয়ে অবসরে নাদুস-নুদুস হয়
পীর হাবিবুর রহমান-কিছু আমলা কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি না করে সরকারের দলকানা হয়ে খেয়েদেয়ে অবসরে নাদুস-নুদুস বিড়ালের মতোন হাঁটছেন। অনেক নীতিবাক্য বলছেন। বিদেশে অর্থ-সম্পদ করে সরকারের কঠোর সমালোচনাও করছেন। আজ অবসরপ্রাপ্ত এক সচিব, যার মন্ত্রণালয়ে হরিলুট হয়েছে, তিনিও কামিয়েছেন বলে বাজারে কথা আছে, কল করেছিলেন। কদিন আগেও কল করে বলেছেন- আমার লেখার ভক্ত। আজ তাকে বললাম, সচিব থাকা অবস্থায় আমার লেখা ভালো লাগেনি ? রাখেন, বলেই ফালতুর ফোনটা রেখে দিলাম। রাজনীতিবিদদের শেষ করে দেয় একদল তোষামোদকারী, গণবিচ্ছিন্ন করে সুবিধাবাদী চাটুকার। আর চোর বানায় একদল আমলা। যারা হাঁসের মতোন কাদা থেকে পুরোটা খেয়ে গা ঝাড়া দিয়ে ময়লা ফেলে সুশীল হয়ে যায়। আদর্শিক কমিটেড আমলা এটা করে না। কর্মীর মতোন বিপদে ঝুঁকি নেয়। একদল কেরানি সাংবাদিক আছে, কোথাও এদের জায়গা হয় না। ছেঁচড়ার মতোন চলে। ক্ষমতার দলবাজিতে মেরুদন্ডহীন এসব কেরানিরাও আলমপনা দাস চরনে আপনার বলে পদ-পদবি নিয়ে আয়েশে জীবিকা নির্বাহ করে। সরকারকে গণমাধ্যম থেকে দূরে নেয়, নিজের ভাগ্য বদলায়। আহারে রাজনীতি! ক্ষমতা হারালে সব বুঝে, কেবল বুঝেও বুঝে না ক্ষমতায় থাকলে। মনে হয় যাকে দেখি যতদূর চোখ যায়, সেই আমার। সবই আমার। তাইতো বেহায়া দলকানা সচিবের গা থেকে দলের ছাপ মুছে যাবার আগেই সুশীল হয়ে যাচ্ছে। লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।