একে কুদরত পাশা-

  দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের এলজিএসপি-২ প্রকল্পের ২০লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর তার সাথে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী আমার ইউনিয়নের প্রতিটি এলজিএসপি-২ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা কাজের মান যাচাই বাচাই করে আমাদের বিল দিয়েছেন। একটি স্বার্থন্বেষী মহল নিজ ফায়দা হাসিলে ব্যর্থ হয়ে আমারও আমার ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন এবং আমি এ সংবাদের সাথে ভিন্ন মত প্রকাশ করছি ভবিষতে এমন মিথ্যা খবর প্রকাশিত হলে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব।
জানা যায, রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন ইউনিয়নবাসী। কিন্তু একটি অদৃশ্য শক্তির কারণে এসম অভিযোগের তদন্ত হলেও অভিযোগকারীদের কিছুই জানানো হয়নি। প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ মিলে সমাধা করেন ফলে মানুষের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্প্রতি ইউনিয়নের ফাতেমানগর গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে এ অভিযোগ দাখিল করেন অপর দিকে একই তারিখে জাহানপুর গ্রামের গোবিন্দ দাশের ছেলে যিষু দাস বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী ও সদস্য লেবু মিয়া, সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুর্বে দাখিল কৃত অভিযোগের তদন্ত না হওয়ায় আরেকটি অভিযোগ দাখিল করেন। হাওরের ফসলডুবির পর জাহানপুর বাঁধের দুর্নীতি নিয়ে একটি অভিযোগ করলে তার ও কোন সমাধান হয়নি। দিন দিন অভিযোগের পরিমান বৃদ্ধি পেলেও সঠিক তদন্তের অভাবে সে সব অভিযোগের বিচার হচ্ছেন না অভিযোগকারীরা।
ইজ্জত আলী তার অভিযোগে বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধিনে এলজিএসপি-২ প্রকল্পের আওতায় রাজানগর ইউনিয়নের মোট ১৬ টি প্রকল্পের মাধ্যমে আংশিক ও কোন কোন প্রকল্পে নামমাত্র কাজ করে সিংহভাগ টাকা আত্মসাত করেন চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী। বিভিন্ন অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রাজানগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ জাহানপুর গ্রামের পাকা রাস্তা হতে দিগারজাঙ্গাল পর্যন্ত রাস্তা পূর্ণনির্মান প্রকল্পে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। প্রকল্প সভাপতি লেবু মিয়া প্রকল্প কমিটির অন্যান্য সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করিয়া অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে বরাদ্দের টাকা আত্মসাত করিয়াছেন। অভিযোগ রয়েছে, অকাল বন্যায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বাদ দিয়ে ইউপি সদস্যরা সরকারের দেয়া ভিজিএফ ভিজিডি উপকারভোগীদের তালিকায় অনিয়ম দুর্নীতি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। কৃষিকার্ড বিতরণেও পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে কৃষকদের কাছ থেকে নগদ টাকা নেওয়ার। ইউপি চেয়ারম্যান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার জনপ্রিয়তা ঈর্শান্বিত হয়ে গত নির্বাচনে পরাজিত একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn