ধর্ষকরা ধর্ষণের বিচার করবে না
বার্তা ডেক্সঃঃ ধর্ষণ প্রতিরোধে সরকারের সমালোচনা করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীরা বলে সরকার নাকি ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আসলে এই সরকার ধর্ষণের বিচার করবে না, কারণ এরা নিজেরাই ধর্ষক।’ গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মান্না বলেন, ‘আজ সারাদেশ উত্তাল। বাংলাদেশ এখন যে পরিস্থিতি, যে অবস্থা বিরাজ করছে তা পাকিস্তান আমলেও ছিল না। প্রতিদিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে অথচ সরকারের দুই চামচা মন্ত্রী বলছেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সরকার নাকি জিরো টলারেন্সে আছে।’ তিনি বলেন, ‘খোদ গতকালই ১৯টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে চৌদ্দটি হচ্ছে শিশু নির্যাতনের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করে, আপনার জিরো টলারেন্স এখন কোথায়? আজ টেলিভিশনে দেখলাম, ধর্ষণের অভিযোগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাহলে আপনার টলারেন্স কোথায়?’
মান্না আরও বলেন, ‘এমসি কলেজে ধর্ষণের খবর পাওয়ার পর অনুমতির জন্য অপেক্ষা করেছিল পুলিশ। যতক্ষণ পুলিশ অপেক্ষায় ছিল, ততক্ষণ এমসি কলেজের ভেতরে ধর্ষণ চলছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয় না, কিন্তু এমসি কলেজে অনুমতি নিতে হবে কেন? আসলে সরকার ও সরকারের পুলিশ সময় দেয় যাতে ধর্ষকরা আরাম আয়েশে পালিয়ে যেতে পারে।’ ‘এ পর্যন্ত যত নারী নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, ছাত্র অধিকার পরিষদের কোনো নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু ইদানীং নয়া নয়া অভিযোগ বানাবার চেষ্টা চলছে। এতে কাজ দেবে না, তাদের সবাই চেনেন। কেউ বিশ্বাস করে না।’ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা বলেন, ‘এই সরকার একটি ফোরটুয়েন্টি সরকার, দুনিয়ার মিথ্যা কথা বলে। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। ভাব করে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। যদি ডিজিটাল বাংলাদেশই হবে তাহলে এইচএসসি পরীক্ষা কেন বন্ধ করে দিতে হলো? ডিজিটালি কি পরীক্ষা নিতে পারেন না? আপনি গার্মেন্টস খুলে দিতে পারেন, আপনি পাটকল শ্রমিকদের অধিকার মানেন না, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেন না কেন?’ আমাদের সময়