ঢাকার ধামরাইয়ে বাড়ির পাশে একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একজন কলেজছাত্রীর লাশ।  এ সময় তার দুই চোখ উপড়ানো ছিল।  নিহত জোবেদা আক্তার মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। রবিবার সকালে ধামরাইয়ে সূতিপাড়া ইউনিয়নের ভাটার খোলা গ্রামের ভুট্টাক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।  পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন জানান, জোবেদা মাঝেমধ্যে ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলত। শনিবার রাত নয়টার দিকে তার মোবাইল ফোনে কল এলে তিনি ঘরের বাইরে উঠনের এক কোণে ভুট্টাক্ষেত সংলগ্ন স্থানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। হঠাৎ ক্ষীণ একটি চিৎকার শুনতে পেয়ে জোবেদার মা সবাইকে ডেকে তোলেন। পরে সারা রাত অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে আর পাওয়া যায়নি।

পরে ভোরে বাড়ির পাশে ভুট্টাক্ষেতে চোখ উপড়ানো অবস্থায় জোবেদার রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
জোবেদার মেজ ভাই জানান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন থেকে জোবেদার কলেজের এক ছেলেবন্ধুর সঙ্গে গতকাল কথা বলার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু ওই ছেলের সঙ্গে জোবেদার কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি।

তিনি আরো জানান, তবে একই কলেজের অন্য আরেকটি ছেলে কয়েক মাস আগে জোবেদাকে উত্ত্যক্ত করত। পরে পারিবারিকভাবে তা মীমাংসা হয়। এরপর আর কখনো ওই ছেলে জোবেদাকে হয়রানি করেনি বলেও জানান তিনি। ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক চন্দ্র সাহা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের ব্যবহৃত সিমকার্ডবিহীন একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মোবাইল ফোনটির সিম কার্ড দুর্বৃত্তরা আগেই সরিয়ে ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কী কারণে এই হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn