নিউইয়র্ক বাংলাদেশী পুলিশ অফিসার হেমায়েত সরকারের আত্মহত্যা
নিউইয়র্ক পুুলিশে বাংলাদেশী এক অফিসার নিজ পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেছেন। কুইন্সে সেন্ট আলবেন্স এলাকায় ১১৩ এভিনিউ ও ২০৫ স্ট্রিটে নিজ বাড়ির বেসমেন্টে গিয়ে ১৩ আগস্ট রোববার বিকেল ৩টায় ৩৭ বছর বয়েসী হেমায়েত উদ্দিন সরকার আত্মহত্যা করেন। লাশ উদ্ধারের পর নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা বলা হয়নি। তার লাশ ময়না তদন্তের জন্যে সিটি মেডিকেল এক্সামিনারের অফিসে নেয়া হয়েছে। স্ত্রী এবং সাড়ে ৩ বছর বয়েসী এক পুত্র সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যেরাও সে সময় বাসায় ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা উল্লেখ করেন। মর্মান্তিক এ ঘটনার সংবাদ পেয়েই বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন এবং সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক খায়েরসহ কম্যুনিটি লিডার বাকির আজাদ ঐ বাসায় যান এবং পরিবারের সদস্যগণকে শান্তনা দেন।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার অধিবাসী হেমায়েত সরকার যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন ২০০০ সালে। পুলিশ অফিসার পদে যোগ দেন ২০০৫ সালে। বাসায় তার বাবা এবং অপর ভাইয়েরাও থাকেন। কেউই আত্মহত্যার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। পুুলিশ ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৫ পুলিশ অফিসার আত্মহত্যা করলেন। গত বছর আত্মহত্যা করেছিলেন ৪ অফিসার এবং একজন স্কুল-সেইফটি অফিসার।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটিতে ৪৯ হাজার পুলিশ অফিসারের মধ্যে হাজারখানেক বাংলাদেশী রয়েছেন। এই প্রথম কোন বাংলাদেশী অফিসারের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলো। এর মাত্র ৭ দিন আগে গত রোববার এক সন্তানের মা ৩২ বছর বয়েসী নাদিয়া আফরোজ সুমী আত্মহত্যা করেন প্রায় একই এলাকা নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে। সুমী ছিলেন খুলনার সন্তান। তার এই অকাল মৃত্যুর শোক-যন্ত্রণা কাটতে না কাটতে আবারো এই মেধাবি পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যার সংবাদে সমগ্র কম্যুনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এলো।