নিষেধাজ্ঞ কার্যকর করায় ট্রাম্পের নিন্দা মুসলিমদের
ছয়টি মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করায় প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমরা। তারা বলছেন, এখনও প্রমাণ হতে পারে ট্রাম্পের এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বেআইনি। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে কিছু শর্তের অধীনে কার্যকর হয়েছে ওই নিষেধাজ্ঞা। এর উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী ও ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের পর্যটকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ থামানো। ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞা আদালতে কয়েক দফা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও সুপ্রিম কোর্ট তা কার্যকর অনুমোদন করে। অক্টোবরে এর ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, সন্ত্রাসীদেরকে থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা দরকারি। কিন্তু মানবাধিকারের পক্ষের ব্যক্তিরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞায় শুধুই মুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছে। এটা অবৈধ। নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মুসলিমদের বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকা’র (আইএসএনএ) নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রে এ সংগঠনটিকে মুসলিমদের অধিকার আদায়ে সবচেয়ে বড় সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সপ্তাহান্তে তারা এমন নীতির প্রতিবাদ জানাতে সমবেত হয়েছিলেন শিকাগোতে। আইএসএনএ’র সভাপতি আজহার আজিজ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাগাড়ম্বরতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তারা বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছে। তিনি যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তা অসাংবিধানিক। আজহার আজিজ আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই বহুজাতিক একটি দেশ। সহিষ্ণু একটি দেশ। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ২৭ বছর বয়সী এক যুবক বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা তালগোল পাকিয়ে দেবে। গত মাসের শুরুর দিকে ভার্জিনিয়ার ১৭ বছর বয়সী নাব্রা হানানেন নামে একটি বালিকা একটি মসজিদে রাতের বেলা নামাজ আদায় করে বের হওয়ার পর তাকে প্রহার করে হত্যা করা হয়। এ অভিযোগ অভিযুক্ত করা হয়েছে ২২ বছর বয়সী এক যুবতীকে।